ফ্রান্সে ইসলাম বিদ্বেষী লেখককে ৫ হাজার ইউরো জরিমানা

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি আপিল আদালত ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য ও ধর্মীয় বিদ্বেষ উসকে দেয়ার অপরাধে দেশটির একজন বিতর্কিত লেখককে ৫,০০০ ইউরো জরিমানা করেছে।বিতর্কিত লেখক এরিক জেমোর ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর টেলিভিশনের এক লাইভ টক শোতে বলেছিলেন, ফ্রান্সে বসবাসরত মুসলমানদেরকে ইসলাম অথবা ফ্রান্স- এ দু’টির একটিকে বেছে নিতে হবে। তার এ বক্তব্য মুসলমানদেরকে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ করে তোলে।

প্যারিসের আপিল আদালত তার এ বক্তব্যকে বৈষম্যমূলক বলে রায় দিয়েছে।
ওই টেলিভিশন অনুষ্ঠানে জেমোর দাবি করেছিলেন, ফ্রান্সের বড় শহরগুলোতে বসবাসকারী মুসলিম নারীরা হিজাব পরে রাস্তায় বের হওয়ার মাধ্যমে প্রকারান্তরে ফরাসি সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন। তিনি আরো দাবি করেন, মুখে স্বীকার করুক আর নাই করুক সব মুসলমান সন্ত্রাসীদেরকে ভালোবাসে।

এর আগে ২০১১ সালে আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে এক মন্তব্য করে আদালতে হাজিরা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ফ্রান্সের এ বিতর্কিত লেখক। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ফ্রান্সে মাদক চোরাকারবারীদের বেশিরভাগই হয় কৃষ্ণাঙ্গ আর না হয় আরব জনগোষ্ঠী। ওই বক্তব্যের বিরুদ্ধেও ফ্রান্সের আদালতে মামলা হয়েছিল। কিন্তু সে মামলায় নিম্ন আদালত এরিক জেমোরকে কারাদণ্ড দিলেও ২০১৪ সালে ফ্রান্সের সুপ্রিম কোর্ট সে দণ্ড বাতিল করে দেয়।

ধর্মীয় ঐতিহ্য থেকে সরে এসেছে সৌদি

 

পুরুষানুক্রমে চলে আসা রক্ষণশীল সৌদি আরবকে পুরো মাত্রায় বদলে দিচ্ছেন দেশটির পশ্চিমাপন্থী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।শিক্ষা, সংস্কৃতি, যুদ্ধ- সবখানেই সংস্কারের ছোঁয়া। শুধু তাই নয়, সৌদিদের জীবনযাপনের মানও বদলে দিতে চান যুবরাজ। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে এবারের বাজেটে নতুন এক প্রকল্পের আওতায় ৩৪.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে সৌদি রাজপরিবার।নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে ‘কোয়ালিটি অব লাইফ প্রোগ্রাম ২০২০’ প্রকল্প ঘোষণা করেছে সৌদি আরবের অর্থনীতি ও উন্নয়ন কাউন্সিল। ৩৪.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কোয়ালিটি অব লাইফ প্রকল্পটি দেশটির অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যকরণ ও তেলনির্ভরতা কমাতে ভিশন ২০৩০-এর একটি গুরত্বপূর্ণ অংশ।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার শুক্রবারের এক খবরে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।

আল আরাবিয়ার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতিমধ্যেই দেশটির মন্ত্রিপরিষদ প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য দেশটির অর্থনীতি, সংস্কৃতি, বিনোদন ও ক্রীড়া খাতে নতুন বিনিয়োগে সুযোগ সৃষ্টি করা।যার ফলে নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়ন হবে এবং বিনিয়োগকারীদেরও সফলতা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে।

এ প্রকল্পটিরও নেপথ্যে রয়েছেন সৌদি আরবের অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
ভিশন ২০৩০ কে বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এ প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। তিনি সৌদি বাদশাহ সালমানের নেতৃত্বে সৌদি অর্থনীতি, সামাজিক অবস্থান ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।কোয়ালিটি অব লাইফ প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটির ১৩০ বিলিয়ন রিয়ালের মধ্যে ৭০ বিলিয়ন রিয়াল বাণিজ্যিক বিনিয়োগ করা হবে।এর উদ্দেশ্য ২০২০ সালের মধ্যে তেল ব্যতীত জাতীয় উৎপাদনে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা।

শীর্ষ নিউজ