দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে বিএনপিকে ছাড়া আবারো ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে সরকার তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।আজ সোমবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তার উপদেষ্টা কবির মুরাদ, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে এর আয়োজন করে ঢাকাস্থ খুলনা বিভাগীয় ছাত্র ফোরাম। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি তারেক উজ জামান তারিকের সভাপতিত্বে এবং ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি আলমগীর হাসান সোহানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত গ্রেফতার হচ্ছে মুক্তি পাচ্ছে আবার গ্রেফতার হচ্ছে। কারণ এই সরকার তো স্বৈরাচার। সেজন্য ন্যায় ও সত্যের পক্ষে কথা বললে তাদের সহ্য করতে পারে না।
তিনি বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে উপরের নির্দেশে ৫ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। রাখা হয়েছে পরিত্যক্ত কারাগারে। অমানবিক অবস্থায় তাকে রাখা হচ্ছে। তিনি এখন অসুস্থ। যা দিনেদিনে অবনতির দিকে যাচ্ছে। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রতিনিধি পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু সরকার কর্ণপাত করছে না। কারণ বিএনপিকে বাইরে রেখে এবং খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে আবার ভোট ছাড়া নির্বাচন করতে চায়। এটাই আওয়ামী লীগের একমাত্র উদ্দেশ্য।তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আরো অবনতি হলে তার দায় দায়িত্ব আপনাদেরকেই নিতে হবে।
সাবেক এই মন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, কমিটি নিয়ে কথা বলার জন্য গতকাল ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতারা বৈঠক করার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে গাজীপুরে নির্বাচন থেকে কেন সরে গেলেন এই রাগে জামায়াতের এক প্রার্থীসহ ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মনে হয় বাংলাদেশে ঘরোয়া রাজনীতিরও মনে হয় পারমিশন নেই। সামরিক শাসনেও এমন হয় না। দেশে অলিখিত বাকশাল চলছে। প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে বাকশাল কায়েম করছে সরকার।
সরকারকে প্রতারক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, গত নির্বাচনে ভারত জোর করে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগকে। কিন্তু তারা এবার নির্বাচন নিয়ে নাক গলাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ বিদেশিদের বলেছিলো সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নির্বাচন হবে তিনমাস পর আবার নির্বাচন হবে। কিন্তু তারা সেটা না করে প্রতারণা করেছে। এখন চীন বলেছে বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। আমরা মনে করি আগামী নির্বাচনে এই প্রতারকদের পেছনে কেউ হাঁটবে না।
৫ জানুয়ারি নির্বাচন করতে চায় তাহলে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে রাস্তায় নেমে আসবে দাবি করে মোশাররফ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনাসহ নেতাকর্মীরা আতঙ্কে আছে যেদিন পতন হবে তখন তাদের কি অবস্থা হবে এই জন্য।তিনি বলেন, গাজীপুরে তিনভাগ পাবে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী পাবেন একভাগ ভোট পাবে এটা আওয়ামী লীগও জানে। এবার জনস্রোত শুরু হয়েছে। এই দুই সিটির ভোট ইসি এবং সরকারের জন্য অগ্নিপরীক্ষা।
বাঁশি বাজিয়ে, দিনক্ষণ ঠিক করে গণআন্দোলন হয় না এমন দাবি করে তিনি বলেন, আগামী দিনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য মাঠে নামবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। সবাই সেইদিনের প্রস্তুতি নিন। স্বৈরাচার শান্তিতে আছে কিন্তু একদিন দেখবে সব শেষ।
Naya Diganta