৫ বছরের আগে জামিন পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া!

সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার সাড়ে তিন বছর পর জামিন পেয়েছিলেন, খালেদা জিয়া কেন এত দ্রুত জামিন পাবেন। খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষে সংবাদিক সম্মেলনে এ প্রশ্ন রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

মাহবুবে আলম বলেন, এর আগের একজন রাষ্ট্রপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে পাঁচ বছরের সাজা দেয়া হয়েছিল। সাড়ে তিন বছর পর তিনি জামিন পেয়েছেন। তাহলে খালেদা জিয়াকে কেন ছাড় দেয়া হবে?।

১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো এরশাদের পাঁচ বছরের সাজা হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পান।অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আরেকটা কথা বলেছি, সম্প্রতি ভারতে লালু প্রসাদ যাদবের জামিন আবেদন ঝারখান্ড আদালত নাকচ করেছে। তার সাজা মাত্র সাড়ে তিন বছর। রাজনীতিবিদরা যখন দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হবেন, তখন সেই মামলায় কোন রকম অনুকম্পা দেখানোর কোন অবকাশ নাই।

আসামিপক্ষ কী বলেছে- জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আসামিপক্ষ বলেছেন, উনি (খালেদা জিয়া) ৭৩ বছরের একজন মহিলা, নানা রকম অসুস্থ এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারা তারা প্রয়োগ করতে চেয়েছেন।

আমরা বলেছি, এখানে ৪৯৭ ধারা হবে না, এখানে ফৌজদারি কার্যবিধি ৪২৬ ধারা মতে হবে। তাছাড়া যেহেতু এটা দুর্নীতি দমনের মামলা ধরতেই হবে এটা নন-বেইলেবল অফেন্স (জামিনঅযোগ্য অপরাধ)।

তিনি বলেন, এই মামলাটা নিম্ন আদালতের মতন এই আদালতেও দেরি করা হোক, ড্যাগ করা হোক আমি তা চাই না।

আমি বলেছি, নিম্ন আদালতের নথিটা আসুক, সুপ্রিম কোর্টে অনেক মেশিন আছে অতি অল্প সময়ে পেপারবুক তৈরি করা হবে এবং পেপারবুক শুনানির পর মামলাটা দ্রুত নিষ্পত্তি করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) জেলে আছেন, ওনাকে একজন সেবিকাও দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, আদালত চাইলে জামিন না দিয়েই আমরা একমাসের মধ্যেই আপিল নিষ্পত্তি করতে পারব।