বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তারা ৯ বছর ধরে আন্দোলনের ডাক দিয়ে ৯ মিনিটের জন্যও রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি। আমরা বাধাও দেইনি। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে তারেক রহমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। আমরা দেখেছি, তারেক রহমান লন্ডনে বসে এ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ছাত্ররা যখন ফিরে গেল তখন বিএনপির নেতৃত্ব চুপসে গেছে।’
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম রহমতউল্লাহ এমপির সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ অনেকে
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সমর্থন করেনি, বিরোধিতা করেছে, তাদের মুখোশ আজ উন্মোচিত হয়েছে। বাংলাদেশে বাস করেও তারা পাকিস্তানের সেবাদাস। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তারা ৭ মার্চ মানে না, তারা মুক্তিযুদ্ধ মানে কি না সন্দেহ আছে।তিনি বলেন, আজ প্রমাণ হয়ে গেছে, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে নির্বাচনের সময়। তারা মুক্তিযুদ্ধকে চেতনায় লালন করে না।
তিনি বলেন, তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল। ২১ আগস্ট বিএনপির সরকার আমাদের নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবেশ করেছে। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার পাশে আমাদের থাকতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্র যেন এ অগ্রযাত্রা রুখে দিতে না পারে।