সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনানুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে। এটি নিয়ে তাড়াহুড়োর কিছু নেই।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. মোজাম্মেল হক এ কথা বলেন।কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে গত রোববার থেকে চলা দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যেই বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা পদ্ধতি তুলে দেয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনো কোটার দরকার নেই। কোটা পদ্ধতি তুলে দিলাম। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সবাই চাকরিতে আসবে। আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের চাকরির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে।প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বৃহস্পতিবার এ সংবাদ সম্মেলন থেকে চলমান আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।এ সময় কোটা বাতিল করে প্রধানমন্ত্রীকে তারা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। একই সঙ্গে তারা দ্রুত সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার আহ্বান জানান।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালু রাখতে স্মারকলিপি
মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা চালু রাখতে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ডার আমির হোসেন মোল্লা এ স্মারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য কোটা বহাল রাখা হয়। এ ছাড়া স্বাধীনতা বিরোধিতাকারীদের সন্তানদের কোটাবিরোধী সহিংস আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা পূর্বের ন্যায় চালু রাখার নির্দেশ প্রদান করে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে আনতে হবে।
আমরা মুক্তিযোদ্ধারা হতাশাগ্রস্ত। গত কয়েক মাস ধরে রাজাকার, আলবদর, আলশামস, জামায়াত, শিবির ও বিএনপির সন্তানরা অহেতুক মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমাবেশ করছে। এমনকি হাইকোর্টে কোটা বন্ধের জন্য মামলা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
Jugantor