কোটা সংস্কার আন্দোলকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র বাড়িতে হামলার সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের ধরে চড়, থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মারে, এক পর্যায়ে লাঠি ও ইট-পাটকেল নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে হামলা করেছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদেরকে প্রতিহত করছে। এখানে ছাত্রলীগ কোনো হামলা করেনি।

এর আগে কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দিতে রাত বারোটারও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি ছাত্রী হল থেকে ছাত্রীরা গেইট ভেঙ্গে বের হয়ে আসে। তারা শাহবাগ-টিএসসি এলাকায় অন্যান্য আন্দোলনরত ছাত্রদের সাথে যোগ দেয়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হল, ফজিলাতুননেসা মুজিব হল, রোকেয়া হলের প্রায় দুই হাজার ছাত্রী আরও আগে থেকেই কোটা সংস্কারের দাবিতে হলের ভিতরে শ্লোগান ও মিছিল করে আসছিলো। একপর্যায়ে হলের মেইন গেট ভেঙ্গে তারা সবাই রাস্তায় বের হয়ে আসে।

বর্তমানে শাহবাগ, টিএসসি, ভিসি চত্বর, নীলক্ষেত এলাকা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শ্লোগানে মুখরিত হয়ে আছে। এর মাঝে একবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আন্দোলন দমনে রাস্তায় নামার ঘোষণা দিলেও পরে আন্দোলনের তীব্রতার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়।

এদিকে সন্ধ্যায় এক দফা হামলার পর রাত এগারোটার দিকে আবারও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও পুলিশ। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানী গিয়ে পুলিশকে বাধা দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এ সময় পুলিশ পিছিয়ে এলে ছাত্ররা আবার এগিয়ে আসে। ফলে পুলিশ পাল্টা অ্যাকশনে যেতে বাধ্য হয়।


এর আগে সন্ধ্যায় ও রাতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর প্রথম টিয়ারসেল ও ফাঁকা গুলি চালায় পুলিশ। পুলিশের মুহূর্মুহু টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের বিরুদ্ধে ছাত্ররা ইট ও ঢিল ছোঁড়ে তাদের প্রতিবাদ জানায়।
এক পর্যায়ে শাহবাগে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এক পর্যায়ে লাল-সবুজের পতাকা তুলে পুলিশকে নিবৃত্ত করতে চাইলেও পুলিশ টিয়ারসেল, ফাকা গুলি ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের মারমুখী আচরণ অব্যহত রাখে। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও মারমুখী হয়ে ওঠে।

পুলিশের টিয়ারসেল, ফাকা গুলি ও লাঠিচার্জে এ পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
bangla.24livenewspaper.com