মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তায় নামা শুরু করেছে: খন্দকার মোশাররফ

বর্তমান সরকারের ওপর জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তায় নামা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, সরকারের সময় বেশি নেই। এ দেশের জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে’ মানববন্ধনের আয়োজন করে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক ডা. মো. ফখরুজ্জামান ফখরুলের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. এমএ সেলিম, ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসান, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. আনোয়ার হোসেন মুকুল, অ্যামট্যাবের বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখের বেশি মামলায় ৩৬ লাখের বেশি আসামি করা হয়েছে, এমন অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাধীন দেশে এটা কেউ কল্পনাও করতে পারে না। সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তাই জনগণ আওয়াজ তুলেছে, এ সরকারকে বিদায় করতে হবে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বিশ্বাস করেন, জনগণ এ দেশে একটি গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করবে। কারণ, কোনো স্বৈরাচার সরকার কখনো আপসে ক্ষমতা ছেড়ে যায় না। অতীত ইতিহাসও তাই বলে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, লুটপাট করে তারা অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। যারা ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, তারা আর ফিরিয়ে দিতে পারবে না। তাই বিএনপি ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মামলার আসামি না হলেও তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গণসমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্বরোচিত ক্র্যাকডাউন চালানো হয়েছে, যা স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ চিন্তা করতে পারে না। অফিসে লুটপাট ও তছনছ করেছে। প্রায় সাড়ে চারশ নেতা-কর্মীকে একসঙ্গে গ্রেফতার করেছে। তারা ঢাকাসহ সারা দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারপরও গণসমাবেশ ঠেকাতে পারেনি।

বাংলাদেশটাই এখন কারাগার-মঈন খান : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার নেশা পেয়ে বসলে সরকার এমন একটি পর্যায়ে উপনীত হয় যে দেশের মানুষের কথা ভুলে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা খুন, গুম, অত্যাচার শুরু করে। তার দাবি, বাংলাদেশ এখন সে পরিস্থিতিতে আছে। পুরো বাংলাদেশই এখন কারাগারে পরিণত হয়েছে। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের অন্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে’ সভার আয়োজন করে রাশেদ ইকবাল খান মুক্তি পরিষদ। রাশেদ ইকবাল খান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি। তিনি গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের সহসভাপতি করিম প্রধান রনির সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের খন্দকার আনিসুর রহমান অনিক প্রমুখ।