



রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার নাশকতায় মোসলে উদ্দিন হত্যা মামলায় হাজিরা দিতেক মুফতি মাওলানা মামুনুল হক কারাগার থেকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে আসেন। আজ বুধবার তিনিসহ ১১০ আসামির এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলামকে আংশিক জেরা করেন।
ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা ফেরদৌস এ জেরা গ্রহণ করেন। এ দিন জেরা শেষ না হওয়ায় আগামি ৩ আগস্ট অবশিষ্ট জেরার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। মামুনুল হকের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এসব তথ্য জানিয়েছেন।




আজ সকালে মামুনুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। হুইল চেয়ারে করে তাকে আদালতে আনা হয়। রাখা হয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায়। দুপুর আড়াইটার দিকে হুইল চেয়ারে করে তাকে এজলাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এজলাসে নিয়ে তাকে একটি বেঞ্চে বসার ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে মামুনুল হককে দেখতে আদালতে হাজির হন তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনসহ শিক্ষার্থীরা। তাকে দেখতে সকাল থেকেই আদালতপাড়ায় ভিড় জমান তারা। মামলার শুনানিকালে আদালতের বাইরে তারা অপেক্ষা করেন। শুনানি শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা অপেক্ষায় ছিলেন।




আইনজীবী মেজবাহ জানান, মামলাটিতে শেষ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। তিনি আরও বলেন, আল্লামা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মোট ২৯ মামলা রয়েছে। কোমরের ব্যথায় ভুগছেন মামুনুল হক। হাঁটাচলায় তার সমস্যা হয়। এ জন্য তাকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে আনা হয়।
জানা যায়, জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দারুস সালাম থানা এলাকার কিয়াংসী চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে গুলি ও হাত বোমা ছুড়তে থাকে। এতে জখম হন মোসলে উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।




এ ঘটনায় মোসলে উদ্দিনের মেয়ের জামাই মো. মিন্টু মোল্লা ওই দিনই মিরপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ১১০ জনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। গত বছরের ২৪ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।
উৎসঃ আমাদের সময়