



রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে। পুতিন ক্যান্সার আক্রান্ত, তিনি পারকিনসনে ভুগছেন, দ্রুত কমে আসছে তার চোখের দৃষ্টিশক্তি– রাশিয়া ইউক্রেন অভিযান শুরুর পর এ ধরনের একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে। এবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, অসুস্থতা লুকাতে পুতিনের দেহরক্ষীরা তার মল ও মূত্র বিশেষ স্যুটকেসে ভরে নিয়ে যান।
পুতিনের সিক্রেট সার্ভিসের কয়েকজন এজেন্টকে এই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কাজে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।




ফরাসি ম্যাগাজিন প্যারিস ম্যাচ দাবি করেছে ২০১৭ সালে পুতিনের ফ্রান্স সফরের সময়ই উদ্ভট এই চর্চার বিষয়টি সামনে আসে। তারপর ২০১৯ সালে পুতিনের সৌদি আরব সফরের সময়তেও একই ঘটনা পরিলক্ষিত হয়।
প্যারিস মার্চ ওই প্রতিবেদনে লিখেছে, আমরা মধ্যপ্রাচ্যের পরোক্ষ সূত্র থেকে জানতে পেরেছি এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি রাশিয়ান ফেডারেল গার্ড সার্ভিসের (এফএসও) নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, এক কর্মকর্তাকে পুতিনের মল বিশেষভাবে তৈরি ব্যাগে ভরে বিশেষ বাক্সে ভরে রাশিয়ার ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়।




এফএসও এই বিষয়টি গোপন রাখার জন্য দূতাবাসের কর্মীদেরও কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়।
পুতিন যেন কোনো চিহ্ন রেখে না যান এবং সবকিছুই যেন তার সঙ্গে ‘মাতৃভূমিতে’ স্থানান্তরিত হয়, সেই জন্যই এমনটা করা হয়। তবে এতোকিছুর পরও বিষয়টি গোপন থাকেনি।
২০১৯ সালে ইউক্রেন নিয়ে কথা বলথে ফ্রান্সের এলিসি প্রাসাদে সফররত পুতিনের একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে ছয়জন প্রহরীকে নিয়ে শৌচাগারে ঢুকতে দেখা যায় পুতিনকে। ভিডিওতে দেখা যায়, দু’জন প্রহরী দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসেন, তার পরে অন্য একজন প্রহরী মল মূত্র ভরা বিশেষ বাক্সটি বয়ে নিয়ে আসেন। তারপর পুতিনকে বেরোতে দেখা যায়, তার সঙ্গে ছিলেন আরও দুই রক্ষী।




সেই সময় এক সাবেক জার্মান গোয়েন্দা প্রধান একটি জার্মান পত্রিকাকে বলেছিলেন, পুতিনের এসব পদক্ষেপ ‘আক্রোশজনক’ ছিল। এই বিষয়টি তিনি ‘প্রকাশ্য উসকানি ও হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন তিনি। jugantor
So I’m counting 6 people accompanying Vladimir Putin to the toilet… pic.twitter.com/BjG5N5IpDR
— Jonah Fisher (@JonahFisherBBC) December 9, 2019