প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে onebd.news এর ফেসবুক পেজে লাইক দিন,সবাইকে জানিয়ে দিতে নিউজটি অবশ্যই শেয়ার করুন
সবাইকে যদি প্রশ্ন করা হয়,বুকে হাত দিয়ে একটি সত্য কথা বলুন,২০১৩ সালের আগে আহমদ শফিকে কে কে চিনতেন?কিছু সংখ্যক মানুষ হয়তো নাম শুনতে পারে,তবুও উনাকে চিনতেন বা দেখেছেন,এমন লোকের সংখ্যা খুবই নগন্য,বরং তার চেয়ে অধিকতর পরিচিত ছিলেন আল্লামা আজীজুল হক্ব,মুফতি আমীনিরা,তাহলে রাতারাতি আল্লামা শফিদের এমন উত্থানের রহস্য কি? ঘটনাটা সমকালীন হলেও জবাব মিলে নি অনেক অজানা রহস্যের!
হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে জানলে অনেকেই অবাক হবেন,আওয়ামী নাস্তিক অপশক্তির এজেন্ডা অনুযায়ী সংবিধান থেকে আল্লাহর প্রতি আস্থাও অবিশ্বাস তুলে দিয়ে নানামূখী ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড,এমতাবস্থায় কেবলমাত্র ইসলাম রক্ষার একটি প্রতিবাদী সংগঠনের প্রয়োজন দেখা দেয় ইসলামী নেতৃবৃন্দের,সেই সূত্রে তৎকালীন ৪ দলীয় জোটের অন্যতম ইসলামী ব্যক্তিত্বদের নিয়ে ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি গঠিত হয় হেফাজতে ইসলাম নামক সংগঠনটি,হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালক শাহ আহমদ শফী এবং ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ইযহারুল ইসলামকে জোটের ইসলামী দলগুলোর পক্ষ সমর্থন যোগাতে থাকে,তাই বিভিন্ন মহল থেকে জামায়াত মদদপুষ্ট বলে অভিযোগও করা হয়েছিলো।
নাস্তিকদের ইসলাম বিরোধী প্রচারনার বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী। তাই জেলে যাওয়ার আগেও সরকারে ইসলাম বিরোধী নানা কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে হুশিয়ারী করে যান,সারা বাংলাদেশে নাস্তিক শক্তির জানান দিতে ইসলাম ধর্মের অন্যকম বজ্রকন্ঠ আল্লামা সাঈদীকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে, অন্যদিকে আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার প্রতিবাদে তাকে ফাঁসি দেয়ার ইস্যু বানিয়ে নাস্তিকদের প্রচারনার কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে শাহাবাগ দখলে নেয়, আর এ জন্য ভারতসহ বাংলাদেশ সরকার থেকে বড় ধরনের অর্থ ডোনেশন নেয় বাম সংগঠনগুলো। বিনিময়ে গড়ে উঠে ইসলাম বিরোধী এক অপশক্তির ঐক্য।
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চকে অনেক বিজ্ঞ আলেমরাও তেমন কোন আমলে নেন নি, এমনকি ফরিদ উদ্দিন মাসুদসহ কোন কোন আলেম শাহবাগে গিয়ে একত্বতাও পোষণ করেন, এতে যে সমস্ত আলেমরা এটাকে কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবি ব্যতীত তেমন কিছুই মনে করেন নি তারা ও শাহবাগের অন্দোলন সমর্থন করেই নিয়েছেন বলা চলে, যার ফলে কাদের মোল্লার ফাঁসির বিরুদ্ধে উক্ত আন্দোলনকে পূঁজি করেই বৃহত্তর বাতিল শক্তির কুকির্তির যোগ সূত্র ঘটে,এরই ফলে নাস্তিকদের সরাসরি আল্লাহর একত্ববাদ ও রাসূল (সঃ) বিরোধী নানামূখী ইসলাম অবমাননাকর প্রচারণা দেখা দেয়,এতে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সারা বাংলাদেশে ধর্ম প্রাণ মানুষের পাশাপাশি একটি ইসলামী বিপ্লবের প্লে ম্যাকার ছিলেন মাহমুদুর রহমান, যিনি আমার দেশ পত্রিকার শেষ পাতায় বিজ্ঞাপন আকারে আল্লামা আহমদ শফিকে শাহবাগী কুকীর্তি ও ইসলাম বিরোধী অপপ্রচার সম্পর্কে অবগত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন এরপরেও আপনারা চুপ থাকবেন? হতাবাক করা বিষয় সারাদেশে লক্ষ লক্ষ আলেম থাকতে তখনো কোন আলেমকে একটি বিপ্লব সম্পর্কে অনুধাবন করতে দেখা যায় নাই, নাকি শাহবাগে ইসলাম বিরোধী অপপ্রচারের মূহুর্তেও এক আলেম আরেক আলেমের টুপি ধরে টানাটানি করতেছিলেন, অনেকতেই বলতেও শোনা গেছে শাহাবাগে জামায়াত বিরোধী বা রাজাকার বিরোধীরা একসাথ হয়েছে, এতে আমাদের কোন মন্তব্য নাই।
শাহবাগী অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনসহ ইসলাম অবমাননাকর নানামূখী অপপ্রচারের ফলে সারাদেশে হেফাজতে ইসলাম কর্তৃক ঘোষিত শাপলা চত্ত্বর কর্মসূচীতে নানামূখী প্রস্তুতি ইসলামী ঐক্যবদ্ধ বিস্ফোরনে সমর্থন দেন নি এমন ইসলাম প্রিয় মুসলিম খুঁজে পাওয়া ছিলো দুস্কর। কেউ শাপলা চত্ত্বর দলে দলে, কেউ নিজে একা এসেছেন আবার কেউ সর্বস্তরে অর্থদান, কালেকশন এমনকি যিনি নিজে কিছুই করতে পারেন নি অন্তত শাহবাগীদের ঘৃণাভরে শাপলা চত্ত্বরের মানুষগুলোর প্রতি ছিলো পূর্ণ সমর্থন, অনেক আওয়ামী লীগ করা লোককে শাপলা চত্ত্বরে আমাদের সাথে আসতে দেখেছি, অবশ্য পরে এলাকায় ফিরে আর তাদেরকে আওয়ামী লীগের নাম মুখে নিতে দেখা যায় নি।
সেকুলার বড় বৈচিত্রময়,সময় লাগে নি ক্বওমী মতাদর্শদের সুযোগ লুপে নেয়ার ধান্দায় মগ্ন হতে,সারাদেশ জুঁড়ে বিএনপি জামায়াত যে ক্বওমী নেতাদের উপর গুরু দায়িত্ব দিয়ে নিজেরাই নিজেদের ময়দান ছেড়ে হেফাজত নেতৃত্বের নামে সারাদেশ জুঁড়ে জনসমর্থনে সহায়তা করে ছিলো,সেই আলেমগুলো এক রাতেই বিক্রি হয়ে গেলো আওয়ামী নাস্তিক অপশক্তির কাছে,ফলে ৫ই মে ক্বওমীরা হ্যালিকপ্টার পেয়েছিলো,আর আমরা গ্রহণ করে ছিলাম কারাগার,সেই রাতের গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আমিও ছিলাম একজন, আমার রবের শপথ,সেই দিন আমাদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল,হেফাজত করেন,ক্বওমী শিক্ষক ও ছাত্র কে কে আছেন?
যারা হেফাজতের কথা বলে ছিলো,তাদের প্রত্যেককে ছেড়ে দিয়ে বাকী আমিসহ বাকী ৪৪ জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়,তার কারণ হলো স্পষ্ট,সেই রাতের আগেই হেফাজত নেতৃবৃন্দ বিক্রি হয়ে গিয়েছিলো,মনে পড়ে গেলো আজ মুফতি আমিনী বেঁচে নাই, থাকলে এতো দিনে দু চারটা চরমোনাই আর বাতিলের তাবেদার ক্বওমী আলেমদের লুঙ্গি খুলে পেটাতো।
এরপর ৫ই মের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে একের পর এক ক্বওমী নামধারী আলেমদের নানা নামে বেনামে স্থাপনা,তাদের নিজেদের পকেটে ভরে আজ ফল খেয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ,এক পকেটে হেফাজত,অন্য পকেটে ক্বওমী আলেমরা,কি অমায়িক পদ্ধতিতে চলছে অবৈধ সরকারের দুঃশাসন,আজ তাই ক্বওমীদের মধ্যে ৫ই মে কে ঘীরে কোন কর্মসূচীর কথা বলতে শুনা যায় না, যে সময়টাকে বিক্রি করে দেশের ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।
সেই দিন রাজনৈতিক সাপোর্ট হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আমীর সাবেক সাংসদ আনম শামশুল ইসলাম জাতীয় সংসদে নির্যাতিত হেফাজতে ইসলামেরর কর্মীদের উপর সরকারের অন্যায় আচরনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিবাদী বক্তব্য রাখেন,তাই ৫ই মে কোন তাবেদারের গোলামের নয়,৫ই মে সমগ্র দেশের ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতার,হেফাজতে ইসলাম তৌহিদী জনতার ইসলাম রক্ষার সংগঠন,কোন ক্বওমীবাদের নয়।
আল্লাহ আমাদেরকে ইসলামের আভ্যন্তরীন বাতিলের তাবেদারী চরিত্রের মানুষগুলো থেকে সতর্ক থাকার মাধ্যমে ইসলামী বিপ্লবকে তরান্বিত করার তাওফীক দান করুক।
Abul Bayan Helali
হেফাজতের গাছ লাগিয়েছে বিএনপি জামায়াত,ব্যবসা করছে ক্বওমীরা,ফল খাচ্ছে আওয়ামী লীগ।সবাইকে যদি প্রশ্ন করা হয়,বুকে হাত দিয়ে…
Posted by Abul Bayan Helali on Saturday, 5 May 2018
প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে onebd.news এর ফেসবুক পেজে লাইক দিন,সবাইকে জানিয়ে দিতে নিউজটি অবশ্যই শেয়ার করুন