আইপিএলের চলতি মৌসুমে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের তুরুপের তাসে পরিণত হয়েছেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল এবং ক্রিস গেইল। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচ একাদশের বাইরে থাকলেও,
তৃতীয় ম্যাচ থেকেই রাহুলকে সাথে নিয়ে পাঞ্জাবকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দিচ্ছেন গেইল। ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানবের সাথে একসঙ্গে খেলতে পেরে নিজের ব্যাটিংয়ের আরো উন্নতি হচ্ছে বলে জানালেন ভারতের এই ওপেনার।এখনো পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে একসাথে ইনিংসের সূচনা করেছেন রাহুল এবং গেইল। সব ক’টি ম্যাচেই দলকে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি এনে দিয়েছেন এই দুজন। প্রতিপক্ষ বোলারদের তুলোধুনো করতে গিয়ে দুজন রানও করেছেন সমান তালে।
মাত্র ৫ ম্যাচেই ৩০২ রান করেছেন গেইল। অন্যদিকে ৮ ম্যাচে রাহুলের রান ২৯২। তবে গেইলের স্ট্রাইকরেট ১৫৪.০৮ হলেও, ১৬৪.৯৭ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন রাহুল।ভারতীয় এই ওপেনার জানিয়েছেন, আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কৌশলটা তিনি মূলতঃ শিখেছেন গেইলের কাছ থেকেই। শুক্রবার গেইলের সাথে টানা পঞ্চম পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়ার পর রাহুল বলেন,
‘আমরা এর আগে ব্যাঙ্গালুরুতেও একসাথে খেলেছি, আমরা আমাদের উপস্থিতি উপভোগ করি। গেইল অসাধারণ একজন মানুষ। সবসময় হাসি-খুশি থাকে। যার ফলে তার সাথে ক্রিকেট খেলাটা সহজ হয়ে যায়। একসাথে দীর্ঘদিন ধরে খেলছি বলে আমরা আমাদের খেলার ধরন বুঝি। ’
প্রতিপক্ষকে ব্যাট হাতে দুমড়ে-মুচড়ে দেয়ার জন্য বিখ্যাত গেইল। চলতি আসরে জ্যামাইকান এই ক্রিকেটের কাছ থেকে এই গুণটা আয়ত্ব করেছেন রাহুল নিজেও। তিনি বলেন, ‘সে সবসময় হাসি মুখে ব্যাট করে। অফফর্ম, অনফর্ম কোন বিষয় না, হাসিমুখেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে সে।
তার কাছ থেকে এই জিনিসটা আমিও আয়ত্ব করছি। যেহেতু সে প্রচণ্ড চাপের মুখেও হাসতে হাসতে প্রতিপক্ষকে পিষ্ট করে ফেলে, তাই প্রতিপক্ষরাই মূলতঃ তার বিপক্ষে চাপ অনুভব করে।আর প্রতিপক্ষ দলের সব পরিকল্পনা গেইল কেন্দ্রিক হওয়াতে আমিও আমার মতো করে চাপহীন ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাই।
’
গেইল-রাহুলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কল্যাণে এখনো পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলে ৫টিতেই জিতেছে পাঞ্জাব। বাকি থাকা ম্যাচগুলোতেও নিজেদের প্রত্যাশামাফিক ফলাফলের জন্য এই জুটির দিকেই তাকিয়ে থাকবে প্রীতি জিন্তার দল।