ডেবিড ওয়ার্নার সরে দাঁড়ানোর পর কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে এতো তাড়াতাড়ি নিজের মানিয়ে নেবেন কল্পনাও করা যায়নি। একবারে স্বপ্নের দৌড় চলছে বলতে হবে! তবে হায়দরাবাদে কেন উইলিয়ামসন ছাড়া কারও ব্যাটে ধারাবাহিকতা নেই।
অথচ সেই টিমটা দুর্দান্ত ছন্দে এগিয়ে চলছে। দলের বোলাররা যেভাবে প্রতিটা ম্যাচ বের করে করে আনছে বিপক্ষ টিমের মুঠো থেকে, তাতে অবাক হতেই হয়। হয়দরাবাদের বোলিং রাইন আপ ওয়াল্ড ক্লাস।
আট ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের টিম পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে। শনিবার (৫ মে) উপ্পলে আইপিএল সিজন ইলেভেন ২৫তম ম্যাচে ঘরের মাঠে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। চলতি মৌসুমে এটাই তাদের প্রথম সাক্ষাৎ।
বাংলাদেশ সময় রাত ৮:৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি। খেলাটি দেখতে চোখ রাখুন স্টার স্পোর্টস ওয়ান, স্টার স্পোর্টস হিন্দি, স্টার স্পোর্টস, সিলেক্ট ওয়ান ও বাংলাদেশি চ্যানেল নাইন এবং শুনতে কান রাখুন রেডিও ৯২.৮-এ।
মাঠে নামর আগে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক হয়দরাবাদের জানা-অজানা।
পরিবর্তন:
পিঠের ইনজুরির কারণে এই ম্যাচেও অনিশ্চিত হায়দরাবাদের স্ট্রাইক বোলার ভুবনেশ্বর কুমার। তাই তার জায়গায় বাসিল থাম্পিকেই রাখা হবে। ব্যাটিং অর্ডারে শক্তি বাড়াতে ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে ইংলিশ হার্ড হিটার আলেক্স হেলসকে। সেক্ষেত্রে নিজের প্রিয় পছন্দ তিন নম্বরে থাকবে কেন উইলিয়ামসন।
পজিশন:
শিখর ধাওয়ানের সাথে ওপেনিংয়ে থাকবে আলেক্স হেলস। তিন নম্বরে থাকবে কেন উইলিয়ামসন। তিন নাম্বারের ব্যর্থ ঋদ্ধিমান শাহাকে দেখা যাবে নিচের দিকে। মিডল অডারে সাকিবের সাতে আছে মনিষ পান্ডে। চলতি আইপিএলে ভালো সময় যাচ্ছে না হায়দরাবাদের মিডল অর্ডারের। শেষ দিকে ইউসুফ পাঠান ও ঋদ্ধিমান শাহ থাকবেন স্লগ করার অপেক্ষায়।
অধিনায়ক:
কেন উইলিয়ামসন।
নজর থাকবে যাদের দিকে:
অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের বাজির ঘোড়া হতে পারে আফগানিস্তানের বিস্ময় বালক রশিদ খান। ব্যাট হাতে নিজের দিনে ইউসুফ পাঠানের চেয়ে ভয়ঙ্কর হাতে গোনা।
এইবার.. দ. আফ্রিকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মেয়েদের লজ্জাজনক হার
প্রস্তুতি ম্যাচের প্রতিপক্ষ আর দক্ষিণ আফ্রিকা মূল নারী দলের মধ্যে যে আকাশ-পাতাল ফারাক, সেটা টের পেলেন রুমানা আহমেদরা। প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটে-বলে দাপট দেখানো বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নাস্তানাবুদ হয়েছে।
শুক্রবার পচেফস্ট্রুমের সেনওয়েস পার্কে প্রথমে ব্যাট করে স্বাগতিক নারী দল ৯ উইকেটে ২৭০ রান করে। জবাবে মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশের মেয়েরা।
১০৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যান রুমানা আহমেদরা। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
প্রস্তুতি ম্যাচে নারী দলের উইকেট পড়েছিল দুটি, দু’জন অপরাজিত সেঞ্চুরি করেছিলেন। অথচ কাল মাত্র তিনজন ছুঁতে পেরেছেন দুই অংক। তিনজন আবার আউট হয়েছেন শূন্য রানে। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একপর্যায়ে বাংলাদেশ নারী দলের স্কোর ছিল দুই উইকেটে ৭৪।
সেখান থেকে ১৯ রানের ব্যবধানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। তখন একশ’ রানের মধ্যে অলআউট হওয়ার শঙ্কা জেগেছিল।
কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা হকের হাফ সেঞ্চুরিতে মান বেঁচেছে। তিনি লড়াই করেছেন একাই। তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি আর কেউই। তার ১৪৬ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংসে হারের ব্যবধানই শুধু কমেছে।
এছাড়া ওপেনার সানজিদা ইসলাম ৩৫ রান করেন। শেষদিকে পান্না ঘোষ ২৭ বলে ২৩ রান করেন। লেগ স্পিনার ভ্যান নিয়েকার্ক তিনটি উইকেট নেন। এরআগেও দু’দলের মুখোমুখিতে নিয়েকার্কের লেগ স্পিনে খাবি খেয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। স্বাগতিকদের নয়জন বোলিং করেছেন।
এরআগে বোলিংটাও ভালো হয়নি সফরকারীদের। প্রস্তুতি ম্যাচে এক ফাহিমা খাতুনই নিয়েছিলেন আট উইকেট। অথচ কাল স্বাগতিকদের অলআউটই করতে পারলেন না রুমানারা।
স্বাগতিকদের পক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন দু’জন। ওপেনিংয়ে নামা এল লি ৫৪ এবং সি ট্রায়ন ৬৫ রান করেন। ট্রায়নের ৪২ বলের ইনিংসে ছিল নয়টি চার ও তিনটি ছক্কা। বাংলাদেশ নারী দলের জাহানারা, নাহিদা ও ফাহিমা দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান সালমা ও রুমানা।