মাসুদ সাঈদীর টাখনুর নিচে কাপড় নিয়ে যারা ফতুয়াবাজি শুরু করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে…..
আসেন সব মুফতিরা দেখি মাঝায় কত বল(!)
১) সত্যি কি মাসুদ সাইদী টাখনুর নিচে প্যান্ট ঝুলিয়ে পরেন?
মাসুদ সাইদীর আইডি থেকে বাকী ছবি গুলো দেখে প্রমাণ যাচাই করে নিন।
প্রিয় ভাই কেন আপনি অন্যরকম ভাবে ভাবেন না? কেন ভাবতে পারেন না, অবশ্যই কাজ টি হারাম কাজ কিন্তু কোন্ পরিস্থিতিতে তিনি প্যান্ট টা পড়েছেন বা প্যান্টের এমন অবস্হা হয়েছে সেটা কি একবারও ভেবেছেন?
একটু ভাবুন তো ৮ বছর বাবা কারারুদ্ধ, একটি বার বুকে জড়িয়ে কপালে চুমু একে দেয়া যায় না। ভালো ভাবে কলিজা ঠান্ডা করে কথা বা দেখাও হয়না। আল্লাহ অসুস্থতার অসিলায় একবার কিছু সময়ের জন্য বন্দি দেয়ার বাহিরে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। এমতাবস্থায় বলুন আর কোন্ দিকে খেয়াল থাকবে? যদি ক্ষুদাও লেগে থাকে তবুও আচ করা যাবে না যে ক্ষুদা লেগে আছে।
ছবিতে অন্য একজন বোরখা পরিহিতা মহিলা, এই সময় সাঈদীকে দেখার জন্যে যেখানে নিজের মাথায় কাপড় রাখার হুশ খেয়াল হারিয়ে ফেলে সাঈদীকে একটি নজর দেখার জন্য। নিজের বাবার এমন পরিস্তিতিতে এই মুহুর্তে সেখানে অসতর্কতায় সাঈদীর ছেলের প্যান্টের ভাজ খুলে টাখনুর নিচে নেমে যাওয়ার প্রতি কি করে খেয়াল থাকতে পারে?
প্যান্ট আমরাও তো রেগুলারই পরে থাকি
কিন্তু কাজের ফাকে অথবা পেট যখন ক্ষিধায় হালকা হয় নিজের অজান্তে অসতর্কতায় প্যান্ট টাকনুর নিচে চলে আসে। তার মানে আমি/আপনি ইচ্চা করে টাকনুর নিচে কাপড় পরেছি??
মাসুদ সাঈদী বাবার এই অবস্হা দেখে মানসিকভাবে কতটা বিমর্ষ, আবেগপ্রবণ,অপ্রস্তুত,কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছিলেন সেটা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ কল্পনাও করতে পারেনা।
সারা দেশের মানুষ যখন সাঈদীর সাহেবের মুখের দিকে করুন মায়াভরা ভেজা দৃষ্টিতে নির্বাক তাকিয়ে দির্ঘনিশ্বাস ছাড়ছিল তখন বিরুদ্ধবাদীদের চোখ ছিল মাসুদ সাঈদীর প্যান্টোর দিকে।
বিরুদ্ধবাদীদের নিকট ধর্মনিরপেক্ষ শাসন হালাল,সুদ ঘুষ,যেনা ব্যাবিচার ইত্যাদি সব হালাল,শুধু মাসুদ সাঈদীর প্যান্ট পরা হারাম।
ফেইসবুকে কিছু পন্ডিত মাসুদ সাঈদীর টাকনুর নিচে খেয়াল করছে আর কোমরে খেয়াল করেনি।।
তাঁর যায়গায় আমি/আপনি হলে হয়ত প্যান্ট খুলে পড়ে যেত খবরও থাকতোনা।
নিজেদের চেহেরাগুলিকে একটু আয়নাতে না দেখে শুধু অন্যের দোষ খুজে বেড়ানো চরম খারাপ লোকের কাজ।
®এটার সাথে একমত যে, প্যান্ট ভাজ না রেখে কেটে ফেলা উচিত। কিন্তু এটাও বলতে হবে দরদ নিয়ে কেন হিংসা ঝাড়ছেন আপনার কথায়, কেনোইবা এতো তাচ্ছিল্য ফতুয়াবাজি?
আপনি/আপনারা মাসুদ সাঈদীর প্যান্ট পরা অন্য ছবি গুলো দেখুন, আর বুঝে-না বুঝে উনার প্যান্ট নিয়ে যেসব সমালোচনা তার জন্য তওবা করুন যদি বিবেক আর মনুষত্ববোধ এবং আল্লাহর ভয় বলতে নিজেদের কাছে কিছু থেকে থাকে।
এবার দলীল:-
সাঈদী সাহেবের ছেলে টাখনুর নিচে প্যান্ট পরে জাহান্নামি হয়ে গেলেন;বিরুদ্ধবাদীর অপপ্রচার-ফতুওয়ার ফুলঝরিতে হাদিসের আলোকে কিছু জবাব
যে ব্যক্তি গর্বভরে নিজের পোশাক ভুলুন্ঠিত করে পরিধান করে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না” (সহীহ বুখারী ৩/১৩৪০; সহীহ মুসলিম ৩/১৬৫১)
যে ব্যক্তি সালাতের মধ্যে অহংকারের সাথে তার পোশাক ভুলুন্ঠিত করে পরিধান করবে আল্লাহর সাথে তার হালাল বা হারাম কোন সম্পর্ক থাকবে না” ( আবু দাউদ ১/১৭২)
“একজন লোক হাঁটছিল, সে নিজের পরিধেয় পোশাক গর্বের সাথে মাটিতে হেঁচড়ে নিয়ে চলছিল, তার চুল ছিলো পরিপাটি করে আঁচড়ানো, আল্লাহ মাটিকে আদেশ করলেন তাকে গিলে ফেলতে এবং শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত সে এইভাবে মাটির নিচে ডুবতে থাকবে।
( বুখারি, ৩২৯৭,মুসলিম ২০৮৮)
রাসুলুল্লাহ(স) বলেন, যে ব্যক্তি তার পরিধানের কাপড়কে অহংকারের সাথে মাটিতে হেঁচড়ে নিয়ে চলে, শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না”। আবু বকর(রা) উপস্থিত ছিলেন, তিনি জানতে চাইলেন, “মাঝে মাঝে অসতর্কতার কারণে আমার পরিধেয় কাপড় একদিকে ঝুলে পড়ে”। রাসুলুল্লাহ(স) বলেন, তুমি তা অহংকার থেকে করোনি। (বুখারি,৩৪৬৫)
(নিজে অহংকার করে আর অসতর্কতা বসত) দুটি বিষয় হাদিস থেকে একটু বুঝা দরকার অন্যদের বিরোদ্ধে ফতুয়াবাজি করার আগে।
ছবিগুলো সহ হুবহু পোরো পোস্ট কপি চাই লাইক নয়! কপি করে ওদের মুখে কুলুপ এটাতে সহযোগিতা করুন।
প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে onebd.news er ফেসবুক পেজে লাইক দিন