হয়ত এবারের আইপিএলের চেহারাটা অন্যরকম হত, যদি এরা থাকত। এই ক্রিকেটারদের অনেকেই কেউ টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ছিটকে গিয়েছেন, কেউ বা খেলেছেন দু’-একটি ম্যাচ। অথচ এই ক্রিকেটাররা থাকলে দলগুলির চেহারাই পাল্টে যেত। পাল্টে যেত লিগ টেবিলের বর্তমান চেহারাও। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এমনই কয়েক জন ক্রিকেটারকে।
মিচেল স্টার্ক (কলকাতা নাইট রাইডার্স): নিলামে প্রায় সাড়ে ন’কোটি টাকা খরচ করে বাঁহাতি অজি পেসারকে দলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু জো’বার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট চলাকালীন পায়ে চোট পান স্টার্ক। ছিটকে যান আইপিএল থেকেই। তাঁর জায়গায় দলে আসেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার টম কুরান।
কাগিসো রাবাদা: টেস্টে বিশ্বের এক নম্বর বোলারকে রাইট টু ম্যাচ কার্ডে রেখে দেয় দিল্লি। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চোটের জন্য তিন মাস মাঠের বাইরে চলে যান রাবাদা। তার জায়গায় লিয়াম প্লাঙ্কেটকে দলে নেয় দিল্লি।
প্যাট কামিন্স: প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকায় অজি পেসারকে কেনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তিনিও চোটের জন্য টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ছিটকে যান। তাঁর বদলে কিউয়ি পেসার অ্যাডাম মিলনেকে দলে নেয় মুম্বই।
কেদার যাদব: চেন্নাইয়ের প্রথম ম্যাচে আহত অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে দলকে জিতিয়ে ফেরেন কেদার। কিন্তু এই ম্যাচের পরই প্রায় ৮ কোটির কেদার ছিটকে যান হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের জন্য। তাঁর বদলে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার ডেভিড উইলিকে দলে নেয় চেন্নাই।
মিচেল স্যান্টনার: কিউয়ি এই তরুণ অলরাউন্ডারকে ৫০ লক্ষ টাকায় দলে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু হাঁটুর চোটের জন্য ন’মাস মাঠের বাইরে চলে যান স্যান্টনার।জাহির খান: ২০ লক্ষ টাকায় আফগানিস্তানের এই চায়নাম্যানকে দলে নেয় রাজস্থান। কিন্তু টুর্নামেন্টের গোড়াতেই ছিটকে যান তিনি। তাঁর বদলে নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধিকে দলে নেয় রাজস্থান।
জাহির খান: ২০ লক্ষ টাকায় আফগানিস্তানের এই চায়নাম্যানকে দলে নেয় রাজস্থান। কিন্তু টুর্নামেন্টের গোড়াতেই ছিটকে যান তিনি। তাঁর বদলে নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধিকে দলে নেয় রাজস্থান।কমলেশ নাগরকোটি: ৩ কোটি ২০ লক্ষে তাঁকে কেনে নাইট রাইডার্স। শিবিরে যোগ দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই পায়ে চোট পান অনূর্ধ্ব উনিশের এই পেসার। ছিটকে যান টুর্নামেন্ট থেকেই।
জেসন বেহরেনড্রফ: বিগ ব্যাশে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য তরুণ এই অজি পেসারকে দলে নেয় মুম্বই। কিন্তু ভারতে পা রাখার আগেই চোটের জন্য ছিটকে যান তিনি। তাঁর বদলি হিসাবে ম্যাকক্লেনাঘ্যানকে দলে নেয় মুম্বই।
ক্রিস মরিস: দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডারের কাছে থেকে অনেকটাই প্রত্যাশা ছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের। কিন্তু পারফর্ম তো তেমন করতেই পারলেন না, উল্টে চোট পেয়ে ছিটকে গেলেন টুর্নামেন্টের মাঝপথ থেকেই। তাঁর বদলে জুনিয়র ডালাকে দলে নেয় দিল্লি।
প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে onebd.news er ফেসবুক পেজে লাইক দিন