সেনাবাহিনীর কর্মরত মেজরকে পিটিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ!

গত রবিবার রাতে ঢাকা বগুড়া হাইওয়েতে চন্দ্রার কাছাকাছি ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম হলে দুই ট্রাফিক পুলিশ উল্টো দিক থেকে কিছু গাড়িকে প্রবেশ করতে দিলে জ্যামে আটকাপড়া সেনাবাহিনীর ১৯তম ডিভিশনের মেজর মুনিরের সাথে ঐ দুই পুলিশের বচসা হয়। এক পর্যায়ে মেজর মুনিরকে পিটিয়ে পুলিশদ্বয় তাকে থানায় নিয়ে যায় এবং সেখানেও নির্মমভাবে পেটানো হয়।

মেজর মুনির আর্মি সাপ্লাই কোরের একজন অফিসার। বর্তমানে এমআইএসটিতে কর্মরত। তার স্ত্রীও সেনা কর্মকর্তা। ঘটনার রাতে তারা ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট থেকে ঢাকা ফিরছিলেন।খবর পেয়ে মিলিটারি পুলিশের কম্যান্ডিং অফিসার তাৎক্ষণিক সেই স্পটে চলে যান এবং ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত দুই পুলিশকে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে আসার জন্যে একটি মিলিটারি গাড়িতে ওঠানো হয়।

তখন ১৫ জন পুলিশ মিলিটারি পুলিশদেরকে বাধা দিলে আরো ১৪ জন মিলিটারী পুলিশ এবং ৩ জন কাউন্টার টেররিজম সদস্য অস্ত্র শস্ত্র সহ ঘটনাস্থলে পৌছায়। দুই বাহিনী মুখোমুখি অবস্থায় পৌছলে আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী সেনাবাহিনীর নবম ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল অাকবরের কাছে টেলিফোন করে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেন। ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। আইজিপির কথার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অভিযুক্ত দু’পুলিশকে রেখে আর্মি প্রভোস্ট মেজর মুনিরকে নিয়ে ফেরত আসে।

এরপর সেনাবাহিনী প্রধান, ৯ ডিভিশনের জিওসি এবং পুলিশের আইজিপির মধ্যে দফায় দফায় টেলিফোন আলাপ হয়।আজ সোমবার ঢাকার ডিআইজি আবদুল্লাহ আল-মামুন কয়েকবার সাভারের জিওসির সাথে দেখা করার জন্যে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তাকে সময় দেয়া হয়নি। বরং মিলিটারি পুলিশ অফিস-২ এর সাথে বসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত দুই পুলিশকে নিকস্থ পুলিশ ফাড়িতে ক্লোজ করা হয়েছে। ক্ষমা চাওয়ার জন্য আইজিপি নিজে ফোন করে সুযোগ পাচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে সেনাবাহিনীর ভেতরে চরম হতাশা ও অস্থিরতা বিরাজ করছে। জুনিয়র সেনা অফিসাররা খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে onebd.news er ফেসবুক পেজে লাইক দিন