ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলে বড়ই বিপদে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটি ম্যাচে জয়লাভ করেছে মুস্তাফিজুর রহমানের দলটি। প্লে-অফে খেলতে হলে অবশ্যই বাকি ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে জয়লাভ করতে হবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে।
এদিকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের শেষ ম্যাচে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কাছে হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে পড়ে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বাজে পারফরমেন্স করার কারণে একাদশে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তারই ধারাবাহিকতায় শেষ দুই ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের
বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে কোহলির ব্যাঙ্গালুরুর কাছে ১৪ রানে হেরে গেছে দলটি। আর এ হারের জন্য মোস্তাফিজকে একাদশে না নেয়াকেই দায়ী করছেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার এবং সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জেরেকার।
ব্যাঙ্গালুরুর চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পিচ ছিল বেশ স্লো। আর এমন পিচে মুস্তাফিজের বোলিং হতে পারতো যথেষ্ট কার্যকরী। কিন্তু উল্টো একাদশে নেয়া হয়েছে কিউই পেসার মিচেল ম্যাকক্লেনাঘানকে। আর এখানেই আপত্তি তুলেছেন মাঞ্জেরেকার।
শেষে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে মুস্তাফিজকে একাদশে না রাখা নিয়ে মুম্বাইয়ের সমালোচনা করে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার বলেন, ‘এই ধরণের পিচে, আপনাকে মোস্তাফিজের মত বোলারকে আনতেই হতো। ম্যাকক্লেনাঘান শেষ ওভারে বেশি রান দিয়েছে বলে আমি এটা বলছি না। আমার মতে সে আসলেই অনেক ভালো বোলিং করে। তবে ম্যাকক্লেনাঘান এবং মোস্তাফিজের মধ্যে মোস্তাফিজই আদর্শ চয়েজ।’
এদিকে মোস্তাফিজকে একাদশে রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান পেস তারকা শন টেইটও। এই পেসারকে বাদ দেয়াটা ঠিক হয়নি বলেও বিশ্বাস এই অজি পেসারের। টেইট বলেন, ‘মুম্বাইয়ের জন্য মোস্তাফিজ ছিল আরও ভালো অপশন।’
আগামি ম্যাচের জন্য চিন্তা ধারা পাল্টিয়ে নতুন করে আবারো দল ঘোষনা করলো মুম্বাই।দেখুন সম্ভব্য একাদশঃসূর্যকুমার যাদব, এভিন লুইস রোহিত শর্মা, ঈশান কিষাণ, হার্দিক পাণ্ডে, জেপি ডুমিনি, ক্রুনাল পাণ্ডে, মুস্তাফিজুর রহমান, মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান, মায়াঙ্ক মারকান্দে, জাস্প্রিট বুম্রা
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি সিরিজ খেলবে
পাশাপাশি অবস্থিত দুই দেশ- বাংলাদেশ ও ভারত। ভৌগলিক অবস্থানের সাথে সাথে ক্রিকেটীয় সম্পর্কেও দেশ দুটি প্রতিবেশি। তবে তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের একটি আফসোস, টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির পর অনেক বছর কেটে গেলেও এখনও ভারতের বিপক্ষে তৃপ্তি মিটিয়ে সিরিজ খেলতে পারেনি বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে অন্যান্য দেশগুলো যেখানে খেলে থাকে বড় পড়িসরের সিরিজ, সেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে ছোট সিরিজও আয়োজন করা হয় না নিয়মিত।আইসিসির নির্ধারিত এফটিপিতে এ নিয়ে আলোচনার ঝড় কম ওঠেনি। তবে এবার একটু আশ্বাস মিলল ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজকে কেন্দ্র করে।
সামনের বছরগুলোতে ভারতের বিপক্ষে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। গত সপ্তাহে ভারতেই অনুষ্ঠিত হয়েছে আইসিসির সভা।সেই সভায় বাংলাদেশের হয়ে উপস্থিত ছিলেন সুজন। দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সুজন নিজেই জানান সিরিজগুলো আয়োজনের ব্যাপারে।
তিনি বলেন- ‘অতীতে ভারতের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো ছিল আগামীতে তার চেয়ে বেশি হবে।’
নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন অবশ্য পরিষ্কার করে বলেননি সিরিজগুলো সম্পর্কে। তবে ক্রিকেট অঙ্গনে গুঞ্জন, আগামী দুই বছরে ভারতের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে তিনটি পৃথক সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ
২০০০ সালে বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পেলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারত পরস্পরের বিরুদ্ধে মাত্র ছয়টি টেস্ট সিরিজ খেলেছে।এর মধ্যে একটি ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও বাকি পাঁচটিই হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে। সর্বশেষ গত বছর হায়দরাবাদে এক টেস্টের একটি ‘সিরিজ’ অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে,
যদিও মাত্র একটি টেস্টের কারণে একে সিরিজ আখ্যা দেওয়ার যথোপযুক্ত নয়! ঐ টেস্টে ভালো লড়াই করলেও শেষদিনে পরাজয় বরণ করে নেয় বাংলাদেশ। ঐ ম্যাচের সন্তোষজনক পারফরমেন্সের পরই অনেকে দাবি তোলেন ভারতে বাংলাদেশের আরও বেশি ম্যাচ আয়োজনের।