নিউইয়র্ক প্রতিনিধি: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা জাহিদ এফ সরদার সাদী’র দুইটি বাক্যের স্ট্যাটাসটি দেখে অনেক পাঠকই বুঝতে পেরেছেন উনি কি বলতে চেয়েছেন। ইন্টারনেটের এই যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর স্ট্যাটাসটিতে আবেগ অনুভূতি ব্যক্ত করে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক গণ্ডি পেরিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
আজ বুধবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপিতে কি একজন নেতা খুঁজে পেল না। তারা তো এতে বড় রাজনৈতিক দল। তাহলে কেন একজন পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে (তারেক রহমান) দলের চেয়ারপার্সন বানাতে হবে? এটাতো রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ছাড়া আর কিছু নয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারাগারে সুযোগ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অন্যায় করে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আদালত খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এখানে আমার তো কোনো অপরাধ নাই। উল্টো আমি তাঁকে কারাগারে সুযোগ দিতে গিয়ে একটি অন্যায় করেছি। কারণ নিরপরাধ ফাতেমাকে (খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মী) তাঁর (খালেদা জিয়া) চাওয়ায় তাঁর সাথে কারাগারে দিয়েছি। কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের কোনো মানবাধিকার সংগঠন সোচ্চার না। কই তারা তো এখনো আওয়াজ তুলেনি কেন ফাতেমাকে জেলে থাকতে হবে?
প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পরপরই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা জাহিদ এফ সরদার সাদী তার ফেইসবুক পেইজে দুইটি বাক্য দিয়ে স্ট্যাটাস দেন, “মাননীয়া হাসিনা কি বিএনপির ও চেয়ারপার্সন হতে চান ? ’না’ ___ফাতেমার জেলখানার জায়গাটা নিতে চান, কোনটা !?”
তার এই শিরোনামের মধ্যেমেই বর্তমানে বাংলাদেশ নাম মাত্র স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বাধীনতার প্রশ্ন তুলে ধরেন। স্বাধীন দেশে আজ সরকার বিরোধী মতাদর্শের মানুষ গুলো পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ। একটি স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক দল তাঁর দলের প্রধান কাকে করবেন তাতেও সরকার দলের প্রধানের আপত্তি।
পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটির কিছু উল্লেখযোগ্য কমেন্ট তুলে ধরা হলে:
রফিকুল ইসলাম আকন: “তিনি চান না এমন কিছু আছে? সুযোগ থাকলে জামায়াতের আমীর হতেও দ্বিধা করবেন না।”
এফ এম মোস্তাফিজুর রহমান: সেটা পসিবল নয় প্রিয় ভাই, কারন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সন হতে হলে, গণমানুষের নেত্রী হওয়া লাগবে। তারমত জনবিচ্ছিন্নদের জন্য এ আশা কল্পনায় করাই শ্রেয়।
তন্নি মল্লিক: “হাসিনা তো আগে থেকেই কাজের বুয়া।ইন্ডিয়া যেয়ে কাজের বুয়ার রান্না করে ইন্ডিানদের কে খাইয়েছে। ওর কি কোন লজ্জাআছে”
এম ডি তোফাজ্জল হোসেন: “সৈরাচারের যায়গা তো জেলখানায় হবে কোন সভ্য মানুষ তার পক্ষে যাবে না”
কে এম মাহমুদ: “স্যার, ফাতিমা হাসিনা থেকে অনেক সম্মানিত ফাতিমাকে হাসিনার সাথে তুলনা করা মানে ফাতিমাকে অপমান করা, ফাতিমা একজন সেক্টর কমান্ডার ও রণাঙ্গনের মুক্তি যুদ্ধা স্ত্রীর সেবক, ফাতি কাউকে লগী বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ওরডার দেয়না, তাছাড়া হাসিনার পরিবারের কেউকি রণাঙ্গনের যোদ্ধা ছিলো………?????”
মনটা আমার নিরব: “সবাই কে একটা অনুরোদ করবো হাসিনার সাথে তুলনা করে ফাতেমা কে কেউ অপমান করবেন না দয়া করে।কারন ফাতেমার লজ্জা আছে স্মান আছে। হাসিনার লজ্জা ও নেই স্মান ও নেই।”
মানিক হোসেন: “আগেতো বিষয়টা ভাবি নাই, তাই হতে পারে।”
বেলাল আল হোসেন: “হুন খায়ছে খুল্লা মাছে,
মুখের দিকে তাজা আছে।”
আখম এমদাদুল হক জহির: “ওর কপালে ফাতেমার জায়গাও হবেনা”
আরিফ মেহেদী: “সেরা পোস্ট”
এম ডি নিশা হাসান সুমন: “ওয়াক থু,,,,,,,,,”
মানসুর হেল্লাল: “না স্যার ফাতেমার জায়গাটা তিনি দখল করতে চায়।”
এম হোসেন: “জুতার মালা দিয়ে বরণ করব”
মিজান মির্জা: “বাংলাদেশে ফাতেমার মতো মানুষকে বেশি যোগ্য মনে করি। সময়ের পালাবদলে ফাতেমার থেকে কঠিন জায়গায় অপেক্ষা করছে।”