‘আজেকের এইদিন’ আর ‘জহির উদ্দিন তুহিন’—জাহিদ এফ সরদার সাদী
বেদনার মর্মবাণী প্রতিধ্বনিত হৃদয়ের মাঝে নিঃশব্দে কাঁদে মন একাকী হয়ে, ব্যথার করুণ ইতিহাসের সূচনা লগ্নে!‘আজেকের এইদিন’ আর ‘জহির উদ্দিন তুহিন’ ইতিহাস সাক্ষী হয়ে থাকলো।
‘জহির উদ্দিন তুহিন’ বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান, এক স্ত্রীর অভাগা স্বামী, পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত এক সন্তানের পিতা আর বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছাত্র সংগঠন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিপ্লবী সভাপতি।
১৪৪ ভেঙ্গে দিয়ে পরীক্ষিত জিয়ার সৈনিকরা ৮ই ফেব্রুয়ারি রাস্তায় নেমে ছিল, তাদের ভিতর অন্যতম ছিল “ছাত্রদল ঢাকা মহানগর দক্ষিনের বিপ্লবী সভাপতি এ. এ. জহির উদ্দিন তুহিন”।
আমার কাছে একটি ভিডিও ফুটেজ আসে নাম না বলা এক সাংবাদিকের কাছ থেকে। ভিডিওটি দেখে আমি হতভাগ কি ভাবে আমাদের আগামীর ভবিষৎ তরুণ প্রজন্মরা জীবনবাজি রেখে দেশমাতার সঙ্গী হয়ে ছিলেন সেই দিন। অবৈধ রায়ের পর মিছিলে ছাএদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সহ ছিল অনেকেই। ভিডিও ফুটেজে হাসিনার রক্ষীবাহিনীর পৈশাচিকতা দেখে আমি হতভাগ। এ যেন এক নরকতুল্য আবাসভূমি। ভিডিওটি তে জহিরকে বলতে দেখা যায়, “১৪৪ ভেঙ্গেছি তাতে কি হয়েছে, জেলে নিবেন? জেলে নিয়ে যান”! কিন্তু পারেনি সেইদিন হাসিনার পুলিশ তাকে জেলে নিতে।
কিন্তু, বিএনপি চেয়ারপার্সন গনতন্ত্রের মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জনসমুদ্রে রূপ নেয়া শান্তিপুর্ন অনশন কর্মসূচী থেকে অবৈধ ভাবে গ্রেফতার করে হাসিনার পুলিশ।
আর আজ, ইন্টারনেটের এই যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোশাল মিডিয়ার বদৌলতে ছড়িয়ে পড়েছে কয়েকটি ছবি। ছবি গুলো হতভাগা জহির উদ্দিন তুহিনের আর রাতারাতি পৌঁছে গেছেন খ্যাতির চূড়ায়। ছবি যেমন কথা বলে তেমনি জহিরের ছবি গুলো সোশাল মিডিয়াতে আবেগ অনুভূতি ব্যক্ত করে দেশের রাজনৈতিক গণ্ডি পেরিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা আর স্বৈরাচার সরকার বিরোধী সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
একজন মেধাবী ছাত্রনেতার হাতে হাতকড়া, পায়ে ডান্ডা বেড়ি পড়িয়ে প্রকাশ্যে হাঁঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল দেশের রাজপথ দিয়ে! এই কোন অসভ্য সমাজে আমরা বসবাস করছি? তার অপরাধ সে অবৈধ সরকার বিরোধী মতাদর্শের একজন ছাত্র নেতা! জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কি কোন নিষিদ্ধ সংগঠন? ছাত্রদল করা কি কোন অপরাধ? দুর্ভাগ্য এই দেশ ও দেশের ছাত্র সমাজের, দুর্ভাগ্য ডাণ্ডা বেড়িতে বাঁধা দেশের রাজনীতির, দুর্ভাগ্য পিতা-বিহীন এই জাতির!
শিরোনামহীন বাংলাদেশ নাম মাত্র স্বাধীন রাষ্ট্রে স্বাধীনতা ম্লান। স্বাধীন দেশে আজ আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে অদম্য বাঙালী জাতি ঘুরে দাঁড়ায় বার বার।
ধিক্কার জানাই এই ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচার অবৈধ অসভ্য সরকারের এই অগণতান্ত্রিক হীন কর্মকান্ডের জন্য, আর সাথে বলতে চাই, “গ্রেফতার আর অমানবিক নির্যাতন করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা।” তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং নিঃশর্ত মুক্তি চাই, দিতে হবে।
জাহিদ এফ সরদার সাদী: বাংলাদেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা এবং বিএনপির বিশেষ দূত।
ভিডিওটি দেখতে লিংকে ক্লিক করুন, ধন্যবাদ।