মেরুদণ্ডহীন ইসির সুষ্ঠু নির্বাচনের যোগ্যতা নেই: মির্জা আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন। তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন করার কোনো যোগ্যতাই নেই। তারা সরকারের ইচ্ছা পূরণের জন্য কাজ করছে।’আজ বুধবার বেলা ১১টায় শ্রমিক দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছা পূরণে কাজ করছে। তাদের দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। উট পাখি যেমন ঝড় আসলে বালুর মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে মনে করে তাদের ঝড় আঘাত করবে না এ ইসির অবস্থা তেমন। তারা মনে করে নিরপেক্ষ নির্বাচন না করলে জনজোয়ার তাদের আঘাত করবে না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সমাধান হওয়ার আগে তফসিল ঘোষণা কখনওই জনগণ মেনে নিবে না। সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রেও একই বিষয় কাজ করছে। সরকার যে নির্দেশ দিচ্ছে কমিশন তাই বাস্তবায়ন করছে। তাদের নিজস্ব কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। জনগণের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণের যে নিয়ম রয়েছে সেটিও তারা পালন করছে না।’

ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের সৃষ্টি। সরকার নিজেদের ইচ্ছা পূরণে তাদের পছন্দমত লোক বসিয়েছে কমিশনে। যাতে আবারও একতরফা ভোট করে ক্ষমতায় আসতে পারে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসা দরকার।’

ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার সব সময় চেষ্টা করেছে দেশের প্রধান বিরোধী দলকে দূরে রেখে, খালেদা জিয়াকে বাহিরে রেখে একতরফা নির্বাচনের। কারণ আওয়ামী লীগ পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের জনগণের কাছে যাওয়ার জায়গা নেই। তারা নিশ্চিত বিরোধী দল নির্বাচনে গেলে তাদের ভরাডুবি হবে সে জন্য একতরফা নির্বাচনের জন্যই এ কমিশন গঠন করেছে। যাতে তাদের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় আসতে পারে। কিন্তু এটি কখনও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবো না আমরা আগেই বলেছি।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘গাজীপুরের এসপি হারুনকে সরানোর জন্য আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো আমাদের জোটের ৪৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে, এমনকি যিনি মেয়র পদে দাঁড়িয়েছিলেন তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব কারণে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এটি মনে করার কোনো কারণ আমি দেখছি না।’

আওয়ামী লীগ রাজনীতিকে একটি ভয়াবহ অন্ধকার গহ্বরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সাথে কোনো আলোচনা না করে, জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতেই সরকারের এ প্রচেষ্টা।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিমসহ শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা।