গাজীপুর এবং খুলনা সিটি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। আজ প্রতীক বরাদ্দের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন কমিশননির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ উন্মুক্ত করে দিলো। আগামী ১৫ মে এই দুই সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের প্রচারণার আগেই দুই সিটি কর্পোরেশনে কি ধরনের ফলাফল হতে পারে, সে ব্যাপারে জরিপ করেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা।
জাতীয় নির্বাচনের আগে এই নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানছে প্রধান দুই দল। উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু দেশগুলো এই নির্বাচন নিয়ে উৎসাহী। এই নির্বাচন কতটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তা দেখতে চায় দাতা দেশগুলোও। আওয়ামী লীগ এই দুটি সিটি নির্বাচন নিয়ে এ পর্যন্ত দুটি জরিপ করেছে। প্রথম জরিপ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে।
ওই জরিপ ছিল মূলত আওয়ামী লীগের কে যোগ্য প্রার্থী তার উপর। আওয়ামী লীগের মনোনয়নের ক্ষেত্রে ঐ জরিপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে জানা গেছে। ঐ জরিপে জনপ্রিয়তায় গাজীপুরে জাহাঙ্গীর আলম এবং খুলনায় তালুকদার আবদুল খালেক অনেক এগিয়ে ছিলেন। ঐ জরিপে ‘দলীয় অন্তঃকলহ’কে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
মনোনয়ন ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় জরিপ করা হয়েছিল। ঐ জরিপে প্রধান দুই দলের প্রার্থীদের ব্যাপারে জনমত জানতে চাওয়া হয়। আওয়ামী লীগের জরিপে দেখা যায়, গাজীপুরে মোট উত্তরদাতার ৫৭ ভাগ বলেছে তারা জাহাঙ্গীর আলমকে ভোট দেবে। আর বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের পক্ষে মত দিয়েছেন ৩৬ ভাগ উত্তরদাতা।
৬ ভাগ উত্তরদাতা তাদের মত প্রকাশে অনীহা জানিয়েছেন। খুলনায় দেখা গেছে, ৪৬ ভাগ উত্তরদাতা তালুকদার আবদুল খালেকের পক্ষে মত দিয়েছেন। অন্যদিকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর পক্ষে মত দিয়েছেন ৪১ ভাগ উত্তরদাতা। ১৩ ভাগ উত্তরদাতা কোনো মত দেননি। আসলে এই সিদ্ধান্ত না দেওয়া ভোটারদের উপরই নির্ভর করবে খুলনা সিটি নির্বাচনের ফলাফল।
অন্যদিকে বিএনপি মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর একটি জরিপ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে গাজীপুরে ৪১ ভাগ উত্তরদাতা বলেছেন তারা ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। ৪০ ভাগ উত্তরদাতা বলেছেন তারা নৌকায় ভোট দেবেন। আর ১৯ ভাগ বলেছে, এ ব্যাপারে তারা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। অন্যদিকে খুলনার জরিপে দেখা গেছে, নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছে ৩৮ ভাগ উত্তরদাতা, ৩৬ ভাগ উত্তরদাতা বলেছে তালুকদার আবদুল খালেকের কথা। ২৬ ভাগ উত্তরদাতা বলেছেন, এ ব্যাপারে তারা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের নিজস্ব উদ্যোগে দুই সিটি করপোরেশনে ভোটারদের মনোভাব যাচাই করেছে। এতে গাজীপুরে আওয়ামী লীগের সহজ জয় এবং খুলনায় বিএনপি প্রার্থীর এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা দেখছে বলে জানা গেছে।মার্কিন দূতাবাস দুই সিটিতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস করেছে। নির্বাচনের আগে তারা ফলাফলের উপর আরও একটি জরিপ করবে বলে জানা গেছে।
Shompadak.com