আর দুই সপ্তাহ পর রমজান মাস শুরু হচ্ছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের ইবাদতের অন্যতম স্তম্ভ রোজা এই মাসজুড়ে পালিত হয়। তাই মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এই মাসটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সেই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ রোববার মুসলিম সম্প্রদায়কে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মোদি তার শুভেচ্ছাবার্তায় পবিত্র রমজান মাসের অনুকম্পার মূল্যবোধ নিজেদের মধ্যে গেঁথে নেয়ার আহ্বান জানান। খবর খালিজ টাইমসের।
নরেন্দ্র মোদি তার মাসিক ‘মান কী বাত’ রেডিও প্রোগ্রামে জাতির উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেন, মুসলমানরা ঈদের চাঁদ দেখার আগ পর্যন্ত সারা মাসজুড়ে রোজা রাখে। তাই একজন রোজাদার ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত ব্যক্তির প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে।
এমনকি তার রেডিও বার্তায় মোদি মহানবী মোহাম্মদ (সা.) এর বাণী উদ্ধৃত করে বলেন, ইসলাম আমাদের পরিচিত বা অপরিচিত ক্ষুধার্ত ব্যক্তিদের খাবার খাওয়াতে এবং সবাইকে উষ্ণতা ও ভালোবাসা দিতে শেখায়।
উল্লেখ্য, ভারতে প্রায় ১৯ কোটি মুসলিমের বসবাস। সংখ্যা বিবেচনায় ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পরই ভারতে মুসলমানদের অবস্থান।
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ কি মুহাম্মদ (সা.) এর বংশধর?
ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর রক্তের সম্পর্ক রয়েছে! অবাক করা এমন খবর প্রকাশ করেছে আল-ওসবো নামের মরক্কোর একটি সংবাদপত্রে। খবর ডেইলি মেইল।
মরক্কোর সংবাদপত্র আল-ওসবো’র দাবি, বর্তমান ব্রিটিশ রাজবংশীয়রা চৌদ্দ শতকে আর্ল অফ কেমব্রিজের বংশের সঙ্গে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এই আর্ল বা সামন্ত বংশ স্পেনের প্রথম ইসলামি রাজবংশের সঙ্গে রক্তবন্ধন যুক্ত। কারণ স্পেনে ইসলামি শাসনের গোড়াপত্তন করেছিলেন নবী-কন্যা ফাতিমার বংশধর।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে গবেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, নবী মুহাম্মদ (সা.) এর রক্তধারার ৪৩তম প্রজন্ম হচ্ছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
যদি এই দাবি সত্য হয়, তাহলে জর্ডান ও মরক্কোর রাজবংশ এবং ইরানের বিখ্যাত নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও রানী এলিজাবেথের খুব কাছের আত্মীয়।
ই দাবির সত্যতা নিয়ে ইউরোপ ও আরব উভয় দিকের ইতিহাসবিদরাই বিভিন্ন প্রকারের মতপোষণ করতে শুরু করেছেন।
একদল ইতিহাসবিদ জানাচ্ছেন, জাইদা নামে স্পেনের ইসলামি রাজবংশের এক রাজকন্যা সেভিল শহর বর্বরদের দ্বারা আক্রান্ত হলে এগারো শতকে সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হন এবং কাস্তাইয়ের খ্রিস্টান রাজা ষষ্ঠ আলফোনসোর কাছে আশ্রয় নেন।
সেখানেই জাইদা খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। তার নতুন নাম হয় ইসাবেলা। তিনি আলফোনসোকেই বিয়ে করেন এবং তাদের এক পুত্রসন্তান হয়। সেই পুত্রেরই কোনো বংশধর কেমব্রিজের আর্লকে বিয়ে করেন।
জাইদার বংশপরিচয় নিয়ে ইতিহাসবিদরা নিশ্চিত নন। তবে অনেকেই তাকে মহানবীর বংশধর মুহাম্মদ বিন আব্বাদের বংশধর বলে মনে করেন। আবার অনেকের মতে, জাইদার সঙ্গে মুহাম্মদ বিন আব্বাদের বংশের কারোর বিয়ে হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বিষয়টি আরব বিশ্বে বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
rtvonline.com