সন্তান পেটে রেখেই সেলাই, দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ফাতেমা ক্লিনিকে পারভীন বেগম নামের এক গর্ভবতী মায়ের পেটে সন্তান রেখে সেলাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাৎক্ষনিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার পর নরমাল ডেলিভারি বাচ্চা প্রসব করেছেন ওই প্রসূতি মা।

ওই প্রসূতি ৯দিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে শনিবার বাঘা উপজেলার জোতনাসী গ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। এদিকে তার স্বামী কায়েম আলী দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ক্লিনিক মালিকের কাছে। এই দাবি মানা না হলে আইনি আশ্রয় নিবেন বলে জানান তিনি।

কায়েম আলী বলেন, আমার স্ত্রী পারভীন বেগমের প্রসব ব্যাথা উঠলে ১২ এপ্রিল ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করি। ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক আক্তারুজ্জামান রোগীকে সিজার করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। সেখানে পেট কাটার পর অবস্থা বেগতিক দেখে রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

তিনি বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর পরই সাধারণভাবে সন্তান প্রসব করেন পারভীন। সেখানে ৯ দিন চিকিৎসা শেষে শনিবার বাড়িতে নিয়ে এসেছি।ক্লিনিক মালিকের কাছে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরন দাবি করেছি। আর এই দাবি মানা না হলে আদালতে মামলা করা হবে বলে তিনি জানান।বাঘা ফাতেমা ক্লিনিকের মালিক ডা. আবদুল বারী বলেন, রোগীর অবস্থা আগে থেকেই ভালো ছিল না।

এছাড়া এর আগেও এই রোগীর সিজার করে বাচ্চা প্রসব করানো হয়। তারপরও রোগীর স্বামীর অনুরোধে অপারেশ থিয়েটারে নেয়ার পর অবস্থা খারাপ দেখে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করি। তবে সেখানে নরমালি বাচ্চা প্রসব শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন রেজা বলেন, এই বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Nationnews24.com