৭৫ এর পর আওয়ামী লীগ যে সময় পার করেছে, এখন বিএনপিও সেই অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি ঐ মন্তব্য করেন।মূলত: দুটি সিটি নির্বাচনে প্রচারণার কৌশল নিয়ে এ বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জামাতসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দুই সিটিতে কারা কীভাবে প্রচারণায় অংশ নেবে, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
উঠে আসে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রসঙ্গ। এ প্রসঙ্গে দলের মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি এখন এক কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলের এরকম পরিস্থিতি হয়।’ এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ’৭৫ এর পর সবাই ধরে নিয়েছিল, আওয়ামী লীগ আর থাকবে না। কিন্তু তারা আছে। ৮১ তেও আমাদের (বিএনপি) কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে যুবদলের একজন নেতা বলেন, ’৭৫ এর পর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন, ৮১ তে খালেদা জিয়া বিএনপির হাল ধরেছিল বলেই দলগুলো টিকে ছিল। কিন্তু এখন কে দলের হাল ধরবে?’ জবাবে ফখরুল বলেছেন, ‘নেতৃত্ব প্রয়োজনেই বেরিয়ে আসবে, কাউকে ঠিক করে দিতে হবে না।’
বাংলা ইনসাইডার
আপনাকে নিয়ে এই মুহূর্তে অনেক কনট্রোভার্সি হচ্ছে।
তারেক জিয়াকে বিএনপির পদ থেকে আপাতত সরে থাকা অথবা পদত্যাগের অনুরোধ করলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। মঙ্গলবার রাতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ তারেক জিয়ার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। ব্যারিস্টার মওদুদের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।ব্যারিস্টার মওদুদ যখন কথা বলেন, তখন তাঁর সঙ্গে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং তারেক জিয়ার ব্যক্তিগত আইনজীবী ব্যারিস্টার কামাল ছিলেন। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আপনাকে নিয়ে এই মুহূর্তে অনেক কনট্রোভার্সি হচ্ছে।
তাই আপাতত: দলের সব দায়িত্ব থেকে সরে থাকলে আমরা ইন্টারন্যশনালি বোঝাতে পারি।’ উত্তরে তারেক জিয়া বেশ অসন্তুষ্ট হয়ে বলেন, ‘আপনি সরে দাঁড়ালেও তো দলের অনেক উপকার হয়।’ বিব্রত ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন,
‘আমি আপনাকে সরে যেতে বলিনি। দল আপনিই চালাবেন, শুধু অফিশিয়ালি পজিশনটা হাইড করবেন বা পদত্যাগ করবেন।’অবশ্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের প্রস্তাবে সাড়া দেননি তারেক জিয়া। বরং পাল্টা তাঁর বক্তব্য প্রচারের বাধা আদালত থেকে যেন তুলে নেওয়া হয়, সেজন্য কাজ করতে বলেছেন।
ভোরের পাতা