‘তারেক বিএনপি করাই ডিফিকাল্ট করে দিয়েছে, বাপের বেটা একদম’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য তিনি। এখন বিছানায় শয্যাশায়ী। দলের কর্মকাণ্ড একদমই থাকতে পারছেন না।একরকম মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। তারপরও তাঁর কাছে কর্মীরা আসেন। কষ্ট হলেও কথা বলেন, টুকটাক। নেতারাও যান, দেখা করেন। গতকাল ছিল বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচি। এটা শেষ করে কয়েকজন কর্মী এবং স্থানীয় নেতা গেলেন দেখা করতে। অসুস্থ ঐ নেতা বিএনপির বর্তমান অবস্থা দেখে হতাশ।

কর্মীদের বললেন, ‘জিয়াউর রহমান সাহেব রাজনীতি ডিফিকাল্ট করার কথা বলেছিলেন। আর তারেক বিএনপি করাই ডিফিকাল্ট করে দিয়েছে। বাপের বেটা একদম।’কথা বলতে কষ্ট হয়। একদিন অন্তর অন্তর ডায়ালাইসিস করেন, তাই হাঁপিয়ে ওঠেন একটু কথা বললেই।

বললেন, ‘৭৫ এর পর আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে যা যা করেছি। এখন তার প্রতিদান পাচ্ছি। এটাই নিয়ম। আর ক’দিন পরই মরে যাবো হয়তো। মরার আগে সত্য কথাগুলো বলা দরকার। অন্যের জন্য কবর খুঁড়লে, সেই কবরে নিজে পরার সম্ভাবনা থাকে।’প্রবীণ এই নেতা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় থাকতে যা করেছি, এখন আমরা তারই কর্মফল ভোগ করছি।’

এই প্রবীণ নেতার নাম তরিকুল ইসলাম। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।খুলনা-গাজীপুর সিটি নির্বাচন: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ইসির বৈঠক, নেই সেনাবাহিনীআসন্ন খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে আগারাগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

সভায় উপস্থিত থাকার জন্য এরই মধ্যে ইসির যুগ্ম-সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত চিঠি মহাপুলিশ পরিদর্শক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআইয়ের মহাপরিচালক/ স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) ঢাকার অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, ঢাকা ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা ও খুলনা রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, দুই সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, এই দুই সিটিতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। ভোটের আগে পরে মোট চার দিন প্রতিটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন র্যাব এবং দুই ওয়ার্ডে এক কোম্পানি বিজিবি সদস্য টহল ও রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে নির্বাচনের মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া প্রার্থীদের আচরণ বিধি তদারকিতে থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং গুরুতর অপরাধের শাস্তির জন্য সামারি ট্রায়াল করে বিচার করবেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। ইতোমধ্যে আচরণ বিধি মনিটরিংয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সিটি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত হিসেবে টহল শুরু করেছে।

shompadak.com