কোথা থেকে গেলে সিনহার অ্যাকাউন্টে এতো টাকা !

কোথা থেকে গেলো সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এতো টাকা, তা বের করতে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেতে দুই ব্যবসায়ীকে তলব করেছে সংস্থাটি। কিন্তু সংস্থাটির কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দুদকের গণমাধ্যম শাখা জানিয়েছে, মোহাম্মদ শাহজাহান ও নিরঞ্জন সাহা নামের দুই ব্যবসায়ীকে তলব করে চিঠি পাঠিয়েছেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। ৬ মে সকাল নয়টায় তাঁদের দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফারমার্স ব্যাংকে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন ওই ব্যবসায়ীরা। পরে ওই টাকা ‘রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির’ ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ওই ব্যক্তি হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।

গত বছর নভেম্বরে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং সরকারের কাছ থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখে বিচারপতি এস কে সিনহা দেশ ছেড়ে যান এর এই প্রেক্ষাপটে পদত্যাগ করেন।

বিচারপতি এস কে সিনহার ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি দেশে ফিরবেন কি-না সে নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপটেই জানা যায় সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে তার পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার খবর।

তিনি ১০ নভেম্বর পদত্যাগপত্র দেন এবং সেটি বঙ্গভবনে পৌঁছেছে ১১ নভেম্বর সকালে। রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং সরকারের কাছ থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছিলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। সে টানাপড়েনের এক পর্যায়ে আইনমন্ত্রী বিবিসিকে জানান বিচারপতি এস কে সিনহা তাকে জানিয়েছেন যে তিনি ক্যান্সারের রোগী। এরপরই জানা যায় প্রধান বিচারপতি ছুটিতে যাচ্ছেন।

এরপর বিচারপতি এস কে সিনহা লম্বা ছুটি নিয়ে প্রথমে অস্ট্রেলিয়া যান, সেখান থেকে যান সিঙ্গাপুরে। কিন্তু দেশ ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের হাতে দিয়ে যান কিছু লিখিত বক্তব্য যা সরকারের দেয়া বক্তব্যের সাথে পুরোটাই অসঙ্গতিপূর্ণ। সেইসাথে তিনি অসুস্থ নন বলেও জানান।

আমি রাতের আঁধারে সুটকেস হাতে পালিয়ে যাওয়া কোন ভীরু-কাপুরুষের সন্তান নই: তারেক রহমান

 

আমি রাতের আঁধারে সুটকেস হাতে পালিয়ে যাওয়া কোন ভীরু-কাপুরুষের সন্তান নই। শুধু নিজের পরিবারকে নিরাপত্তায় রেখে আর সমস্ত জাতিকে চরম বিভ্রান্তি ও সিদ্ধান্তহীনতায় ফেলে আত্মসমর্পণকারী কোন চাপাবাজের সন্তান নই। ক্ষমতার লোভে দেশ ও জাতির শত্রুদের সাথে আঁতাত করা কোন বেইমান-মোনাফিকের রক্ত আমার শরীরে নেই। একনায়কতন্ত্র কিংবা কোন স্বৈরশাসকের ঐরসে আমার জন্ম হয়নি। লোভী, স্বার্থপর কিংবা বিদেশ প্রেমিক কোন পরিবারেরও সন্তান আমি নই।

আমি দেশের জন্য জীবন বাজী রেখে রনাঙ্গনে যুদ্ধ করা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। যে দেশ ও জাতির কথা ভেবে নিজের পরিবারকে চরম বিপদে রেখে অস্ত্রহাতে শত্তুর শিবিরে আঘাত করেছে, আমি সেই বীরের সন্তান। দেশ ও জাতির ক্লান্তিলগ্নে যিনি শক্তহাতে দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে হাল ধরেছে, আমি সেই রাষ্ট্রপ্রধানের সন্তান। সততা ও ন্যায়পরায়ন শাষকের সন্তান। আমি দেশের অতন্ত্র প্রহরী সেনাপ্রধানের সন্তান। আমি দেশের জন্য শহীদ হওয়া শহীদের সন্তান।

ভূলুন্ঠিত গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনা মহিয়সী নারীর গর্ভে আমার জন্ম। যে ক্ষমতার লোভে কখনোই অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি, আমি সেই আপোষহীন মায়ের সন্তান। যে পরিবারের সকলেই খাঁটি বাঙ্গালী, আমি সেই পরিবারের সন্তান। সর্বোপরি আমি একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক পরিবারের সন্তান। যে পরিবারের সকলেই বাঙ্গালী, আমি সেই পরিবারের সন্তান। বাংলাদেশেই আমার জন্ম, বাংলাদেশেই আমার শেষ ঠিকানা। আমার দ্বিতীয় কোন দেশ নেই। দ্বিতীয় কোন ঠিকানাও নেই। বাংলাদেশই আমার প্রথম, বাংলাদেশই আমার শেষ। বাংলাদেশ আমার জীবন, বাংলাদেশই আমার মরন।

নাড়ী পোতা সেই দেশের নাগরিকত্ব বর্জনের কোন প্রশ্নই আসে না। যে দেশের মাটিতে আমার বাবা ঘুমিয়ে আছে, আমার ভাই ঘুমিয়ে আছে, আমার পূর্বপুরুষেরা ঘুমিয়ে আছে, সে দেশ ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না। যে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আমার গর্ভধারিনী *মা* এখনো লড়ে যাচ্ছে, আমি সেই দেশ ছেড়ে কোথাও যাবো না। আমি ফিরে আসবোই। আমি ফিরে আসবোই, ইনশাআল্লাহ।

এবং আমার বিরুদ্ধে করা সকল মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অপপ্রচারের জবাব দিবো, ইনশাআল্লাহ।

আমি ফিরে আসবো, বাবার স্বপ্ন পূরনের জন্য।

আমি ফিরে আসবো, মায়ের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য।

আমি ফিরে আসবো, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য।

–তারেক রহমান FB Page।

.newsagency.