প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর শুনে প্রেমিকার আত্মহত্যা ! নাটোরের লালপুর উপজেলায় প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর শুনে প্রেমিকাও আত্মহত্যা করেছেন রবিবার উপজেলার নবীনগর ও রামগাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত প্রেমিক এজাজুল করিম (২২) লালপুর উপজেলার নবীনগর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে। সে পাবনা পলিটেকনিক্যালের সিভিল শাখার তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার প্রেমিকা একই উপজেলার রামাগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা পাটিকাবাড়ি বেলায়েত খান উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পপি খাতুন।
তার বাবা সাজদার আলী।প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর শুনে একই উপজেলার এবি ইউনিয়নের শ্রী রামগাড়ি গ্রামের সাজদার রহমানের মেয়ে পপি (১৬) সকাল ১০ টার দিকে ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে পপিকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পপিকে মৃত ঘোষনা করেন।
জানা যায়, শনিবার রাতে এজাজুল তার বাবাকে পপির সঙ্গে বিয়ে দেয়ার কথা বলেন। বাবা আনছার আলী রাজি না হওয়ায় এজাজুল অভিমানে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আজ রবিবার সকালে এজাজুলের মরদেহ উদ্ধার করে লালপুর থানা পুলিশ।এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, এজাজুল করিম ও পপির মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো।
লালপুর থানা পুলিশের ওসি আবু ওবায়েদ জানান, এজাজুলের আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরই পপির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আযান না দেয়ায় নবজাতক সন্তানকে আছড়ে হত্যা করলো বাবা
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ভূমিষ্ট হওয়ার পর আজান দেওয়া হয়নি বলে মাত্র এক ঘণ্টা বয়সী শিশু সন্তানকে মাটিতে সজোরে আছড়ে হত্যা করেছে সাজু মিয়া (৩১) নামে এক পাষণ্ড বাবা। তবে ঘটনার পর পরই প্রত্যক্ষদর্শীরা সাজু মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সদরের ঘোড়াঘাট সড়কে অবস্থিত ‘মা’ ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিংহোম নামে ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, রবিবার বিকেলে শাহনাজ বেগম সাহেরাকে ক্লিনিকে নিয়ে আসেন তার স্বামী সাজু মিয়া ও পরিবারের লোকজন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিজারের মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্ম দেয় সাহেরা। সন্তান জন্মের পর সাহেরা অচেতন থাকায় তার ভাবি কোহিনূর বেগম সদ্যপ্রসূত শিশুটিকে দেখাশোনায় ব্যস্ত ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাবা সাজু মিয়া ভাবি কোহিনূরের কোল থেকে সন্তানকে কোলে নেয়।
এ সময় সাজু মিয়া ভাবির কাছে জানতে চায় সন্তান ভূমিষ্ঠের সঙ্গে সঙ্গে আজান দেওয়া হয়েছে কিনা? তখন ভাবি কোহিনূর ও পরিবারের লোকজন নিশ্চুপ থাকেন। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে শিশুটিকে উপরে তুলে মেঝেতে আছাড় দেন সাজু মিয়া। এতে সঙ্গে সঙ্গে শিশুটির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ক্লিনিকে থাকা লোকজন সাজুকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ সাজু মিয়াকে আটক এবং শিশুর লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের তুলট গ্রামের শাহা মিয়ার ডিগ্রি পাস মেয়ে শাহনাজ বেগমের (৩৫) সঙ্গে তিন বছর আগে একই উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের সুলতান সরকারের ছেলে সাজু মিয়ার বিয়ে হয়। পেশায় রং-মিস্ত্রি সাজু কোরআনের হাফেজ।
বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন কিছুদিন সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে কাটে। কিন্তু বয়সের পার্থক্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পারিবারিক অস্বচ্ছলতা ও শাহনাজের নৈতিক চরিত্রসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন শাহনাজ।পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলম জানান, শিশু সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় সাজু মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
probashjibon.com