বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে আওয়ামীলীগ- আমার দেশ

আওয়ামীলীগ যে ভাবে দেশ পরিচালনা করছে তাতে বাংলাদেশ ধ্বংস হবার সামিল। শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য যদি দেশ বিক্রি ও করে দিতে হয় আওয়ামীলীগ তাও দেবে।আওয়ামীলীগে অনেকেই আছেন যারা নিজেদের আওয়ামীলীগ পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করেন। কেন করবেনা? ৭১এর আওয়ামীলীগ আর বঙ্গবন্ধু কন্যা স্বৈরাচার খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগের মাঝে অনেক পার্থক্য। শুধুমাত্র তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কে ভালবাসেন বলেই এখন আওয়ামীলীগে আছেন।

খুব খেয়াল করে দেখবেন আওয়ামীলীগের যে সকল নেতা দেশকে ভালবাসেন তারা কখনো মিডিয়ার সামনে এসে স্বৈরাচার খুনি হাসিনার গুনগান করেনা। কেনই বা করবে? কারন যারা দেশকে ভালবাসে তারা কখনো বর্তমান আওয়ামীলীগ কে ভালবাসতে পারেনা। যদি এই আওয়ামীলীগের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে চান, তাহলে প্রথমে স্বৈরাচার খুনি হাসিনার পতন ঘটাতে হবে। কারন বর্তমান আওয়ামীলীগ হচ্ছে প্রভূ ভক্ত ইন্ডিয়ান দালাল। ওরা বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়।

এই ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিদায় যদি একবার ঘটাতে পারেন তবে মনে রাখবেন খুনি হাসিনা সরকারের এবারই বাংলাদেশে সমাপ্তি ঘটে যাবে। বাকি জীবনেও আর কোনদিন এমন ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচার সরকারের পুনঃজন্ম বাংলাদেশে আর হবেনা। যদি দেশের প্রতি আপনাদের নুন্যত্ম ভালবাসা থেকে থাকে তবে ৭১এর মুক্তিযুদ্ধের মত আরেকবার দেশ রক্ষার শপথ নিন। আপনার জীবন না হয় হেলায় খেলায় চিলে যাচ্ছে আপনার পরের প্রজন্মের কথা চিন্তা করে হলেও এই খুনি হাসিনার হাতথেকে দেশকে রক্ষার শপথ আপনাকে নিতে হবে। গর্ভধারিনী মায়ের বিপদে যেমন আপনি চুপ করে ঘরে বসে থাকতে পারেন না ঠিক তেমনি দেশ মাতৃমা আপনার গর্ভধারিনী মায়ের চাইতে কোন অংশে কম নয়।

দেশের আজ খুম বিপদ, দেশ আজ স্বৈরাচার খুনি হাসিনার হাতে বন্দী তাই সন্তান হিসেবে আপনার আমার সকলের দায়িত্ব দেশ মাতৃকাকে রক্ষা করা। প্রতি হিংসার আগুনে জ্বলছে আজ শেখ হাসিনা, আর সেই আগুনে সোনার দেশ পুড়িয়ে কয়লা করে দিচ্ছে এই খুনি হাসিনা। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর সহ ধর্মিনী সাবেক তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হিংসা চরিতার্থ হয়ে আজ অন্যায় ভাবে কারাগারে পাঠিয়েছে এই খুনি হাসিনা। খুনি হাসিনা আজ দেশ পরিচালনার নামে রক্তের খেলায় মেতে উঠেছে। আর কতদিন নিরবে এই অত্যাচার সহ্য করবেন দেশবাসি?

ভুলে যাবেন না আপনার আমার পুর্ব পুরুষেরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, তাদের পুর্ব পুরুষেরা ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে। আপনার আমার বড়ভাই বা সাথী ও বন্ধুরা ১৯৯০ এর স্বৈরাচার এরশাদ পতনের আন্দোলন করে তার পতন ঘটিয়েছে। এবার আপনার আর আমার পালা, মনে রাখবেন যে জাতির রক্তে আগুন জ্বলে সে জাতি ভয় পেতে পারেনা, যে জাতি স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে পারে সে জাতি কখনো কাপুরুষ হতে পারেনা। আসুন এবার আমরা এই খুনি হাসিনার পতন ঘটিয়ে প্রমান করে দেই আমরাই সেই বীরের জাতি আমরাও পারি দেশের জন্য গণতন্ত্রের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে।

ভয় করোনা হে বীর বিনা আত্বত্যাগে হবেনা আদায় গণতন্ত্রের উচ্চ শীর। দেশের আজ যে অবস্থা খুনি হাসিনার নাম শুনলে দেশের মানুষ আজকাল থু থু ফালিয়ে মুখ ফিরিয়ে নেয়। কোন কথা বলতে পারেনা শুধু মাত্র ভয়ে। আর এই বাঙালী যেদিন এই ভইয়কে জয় করে এগিয়ে আসবে সেদিন আর এই ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচার খুনি হাসিনা সরকারের রক্ষা নেই।