দলের মধ্যেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বিএনপি মহাসচিব। গত রাতে গুলশানে দলের সিনিয়র নেতাদের তোপের মুখে পড়েন মির্জা ফখরুল। সিনিয়র নেতারা বলেছেন ‘আড়াই মাস হলো, চেয়ারপারসনের মুক্তি নিয়ে বিএনপি আন্দোলন গড়ে তুলতে পারল না।’ স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জানতে চান, ‘আমরা কি অপদার্থ, অক্ষম?’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিনিয়র নেতাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, এখন আন্দোলনের উপযুক্ত সময় নয়। তিনি বলেন ‘সামনে রোজা, ঈদ। একটা আন্দোলন গড়ে তুলতেও তো সময় লাগে।’ এর জবাবে, বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন ‘ম্যাডাম গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮ ফেব্রুয়ারি। এতদিন আমরা কি করলাম?’
বিএনপির অধিকাংশ নেতা একমত পোষণ করেন যে, আন্দোলন ছাড়া বাঁচার উপায় নেই। এখনই আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আন্দোলনে আমারও আপত্তি নেই। কিন্তু এরকম আন্দোলনে আমরা সবাই জেলে যাবো। তখন কি হবে ভাবেন? সংগঠন কি থাকবে?’
মির্জা ফখরুলের কথায় চুপসে যান অনেক বিএনপি নেতাই। এরপর সিদ্ধান্ত হয়, সরকারের সঙ্গে আর একদফা সমঝোতার চেষ্টা করার। মির্জা ফখরুল আজ আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেন।
তবে এর আগে বৈঠক নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন ড. মোশাররফ। তিনি বলেন, ‘কামাল সাহেব ভদ্রমানুষ। নিশ্চয়ই আদর আপ্যায়ন করেন। কিন্তু আপনার কি মনে হয়, উনি ম্যাডামের চিকিৎসা করাতে পারবেন, উনি দেখা করাতে পারবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে কি কারাগার চলে, না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় চলে।’ বিএনপির ওই প্রবীণ নেতা বলেন, ‘এর ফলে জনগণের কাছে রং মেসেজ যায়। জনগণ মনে করে, সরকার তো বিএনপির সঙ্গে কথা বলছে। সমস্যার কথা শুনছে। আপনি সরকারকে পয়েন্ট দিচ্ছেন কেন?’
মির্জা ফখরুলও রেগে যান বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত তো আমার দৌড়। তিনি তো মন্ত্রণালয় চালান বলে আমি জানি। আপনার সঙ্গে শুনি আরও উপলতলার যোগাযোগ আছে। দেন না প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটা অ্যাপয়েনমেন্ট। আপনারা নিজেরা কিছু করবেন না, কাউকে কিছু করতে দেবেন না।’
বাংলা ইনসাইডার