প্রার্থী চূড়ান্ত করছে আ.লীগ, বাদ পড়বে ৫০ থেকে ১০০ জন সাংসদ

আসছে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নিশ্চিত জয়ী হওয়া যাবে এমন প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন গুছিয়ে আনছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যেই ১০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি। ২০০ আসনে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের টার্গেটে জরিপ চলছে। দ্রুতই বাকি ১০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া দুর্নীতি ও অপকর্মে জড়িত থাকায় বর্তমান এমপিদের মধ্যে প্রায় ৫০ থেকে ১০০ জন বাদ পড়তে পারে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল তার পরেও ভালো প্রার্থী পাওয়া অনেক কঠিন বলছেন তারা।

দলের ২০তম কাউন্সিলে আাগামী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। কাউন্সিলের পর দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তিনি ঘোষণা দেন, যোগ্য প্রার্থী নির্ধারণে জরিপ চালানো হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে গঠন করা সেল গত এক বছর ধরে কাজ করছে। পাশাপাশি বিদেশী জরিপ সংস্থার মাধ্যমেও চালানো হচ্ছে জরিপ। ৩০০ আসনে আগ্রহী প্রার্থীদের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও দলে অবস্থানসহ পর্যালোচনায় আনা হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়। ইতিমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে নিশ্চিত জয়ী হওয়া যাবে এমন বেশ কিছু প্রার্থী।

বর্তমান সংসদ সদস্যদের একটি বড় অংশ মনোনয়ন থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন। দুর্নীতি ও জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্যতাই এর কারণ হিসেবে বলছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেছেন, আমাদের টার্গেট হচ্ছে যে দু’শ আসনের প্রার্থী নির্ধারণ করা। আত্যবিশ্বাস আছে ভোট হলে নৌকা প্রার্থীরাই বিজয়ী হবে তাদের মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে তিনি চিহ্নিত করেছেন কাদের আসার সম্ভাবনা নাই। সেখানে প্রতিস্থাপন কি হতে পারে সে বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা খুঁজছেন। অনেক জায়গায় প্রতিস্থাপন পাওয়াও যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল তার পরেও ভালো প্রার্থী পাওয়া অনেক কঠিন।

তিনি আরো বলেন, অনেক প্রার্থী বাদ পড়বে। যিনি এমপি হয়েছেন কিন্তু নীজ এলাকায় কাজ করেনি। দুর্নীতির সাথে জড়িয়েছে তার সাথে নানা রকমের অপকর্ম করেছে তাদেরকে দল এবার মনোনয়ন দেবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ফারুক খান বলেছেন, প্রতিটি নির্বাচনে প্রায় ৫০ থেকে ১০০ জন করে সংসদ সদস্য যারা ছিলেন তারা বাদ পড়েছেন। যে কোনো সংসদ সদস্য তিনি যদি তার এলাকায় জনপ্রিয়তা হাড়ান তাকে পুনরায় নমিনেশন দেওয়া হয় না। বিষয়টি অতিতেও হয়েছে আগামীতেও হবে।

জোটভিত্তিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে শরিকদের কতোটুকু আসন ছাড় দেয়া হবে সে সিদ্ধান্ত এখনও আলোচনায় আনছে না আওয়ামী লীগ। এছাড়া, দলের ত্যাগী নেতাদের বাইরে ব্যবসায়ী ও আমলাদের প্রাধান্য দেয়া হবে না বলেও জানাচ্ছেন এসব নেতা।

সূত্র : ইন্ডিপেনডেট টিভি