খালেদা জিয়ার কারাবন্দী দলের কেউ মেনে নিতে পারেনি ; মাঠে ও দলে সক্রিয় সিনিয়র নেতারা ; গ্রেফতার এড়িয়ে কর্মসূচি সফল করার নির্দেশনাখালেদা জিয়ার কারাবন্দী দলের কেউ মেনে নিতে পারেনি ; মাঠে ও দলে সক্রিয় সিনিয়র নেতারা ; গ্রেফতার এড়িয়ে কর্মসূচি সফল করার নির্দেশনাসাংগঠনিক কার্যক্রমে বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির পরও সব সংশয় উড়িয়ে দিয়ে বিএনপিতে এখন আরো বেশি ঐক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেকোনো প্রয়োজনে কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সিনিয়র নেতারা বসছেন একত্রে। পরামর্শ নিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। মাঠে থেকে নেতারাই এগিয়ে নিচ্ছেন চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে ঘোষিত সব কর্মসূচি।
সিনিয়র নেতারা বলেছেন, বিএনপি এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ। ক্ষমতাসীনরা তাদের চাপে রাখতে কিংবা নেতৃত্বে ভাঙন ধরাতে দীর্ঘ দিন ধরেই নানা কৌশল প্রয়োগ করে আসছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি, এবারো হবে না। তাদের মতে, মাঠের নেতাকর্মীরা ১১ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন, কিন্তু কেউই দল ছেড়ে যাননি। এটিই বিএনপির সবচেয়ে বড় সফলতা। গত ৮ ফেব্রæয়ারি দুর্নীতির একটি মামলায় কারাবন্দী হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
তার ওই কারাবন্দী দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল কেউই মেনে নিতে পারেনি। ক্ষোভের পাশাপাশি আবেগের অশ্রæও ঝরিয়েছেন নেতাকর্মীরা। কোনো কোনো মহলের প্রচারণা ছিল, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপি আরো দুর্বল হয়ে পড়বে, এমনকি ভেঙেও যেতে পারে দলটি।
কারাবন্দী হওয়ার পর গত ৯ দিনে বিএনপির সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম সূ²ভাবে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দলের নেতারা চমৎকার বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যেকোনো ইস্যুতে করণীয় নির্ধারণে পরস্পরের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম চলছে খুব গোছালোভাবে। এখন পর্যন্ত কোনো বিষয়ে মনোমালিন্য বা দূরত্ব তৈরি হয়নি। তারেক রহমানের পরামর্শে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রয়োজনানুযায়ী সব ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সিনিয়র নেতারা তাকে সহায়তা করছেন।দল পরিচালনার ক্ষেত্রেই নয়, সিনিয়র নেতারা প্রতিটি কর্মসূচিতেও নিজেদের উপস্থিত রাখছেন। গ্রেফতার এড়িয়ে মাঠের নেতারা যে যেভাবে পারছেন, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। দলের এক নেতা গতকাল বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিটি কর্মসূচি মনিটর করছেন। এ কারণে সবাই আরো বেশি সতর্ক ও উদ্যমী।
তারেক রহমান রয়েছেন লন্ডনে। দলের বর্তমান প্রতিকূল অবস্থায় তিনি খুব সক্রিয় ও সজাগ ভূমিকা পালন করছেন বলে জানা গেছে। এ পর্যন্ত তিনি তিনবার দলীয় ফোরামে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতা রেখেছেন। এসব বক্তৃতায় দলের ঐক্য বজায় রাখার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে সবাইকে মাঠে থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে নয়া দিগন্তকে বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চাইতে বিএনপি এখন ঐক্যবদ্ধ। শুধু তা-ই নয়, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নেতারা রাজপথে সক্রিয়ও। সব প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমি বিশ্বাস করি।তিনি বলেন, মামলা-হামলা, গুম-খুনের পরও একজন কর্মী দল ছেড়ে যাননি। আমাদের আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। তাই শেষ মুহূর্তে কেউ দল ছেড়ে যাবে বলে আমি মনে করি না। বরং যারা দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন দলের এই পরিস্থিতিতে তারা আরো সক্রিয় হচ্ছেন।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, দেশের এই চরম সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে বা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা বদ্ধপরিকর। যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে আমরা প্রস্তুত। আন্দোলন সফলে আমরা রাজপথে থাকব। সেখান থেকে জেলে গেলেও আমরা পিছু হটব না।জানা গেছে, কারাবন্দী হওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়া আইনজীবীদের মাধ্যমে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন। নেতাকর্মীদের তিনি ভেঙে না পড়ে, আইন হাতে তুলে না নিয়ে রাজপথে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নেতারা বলছেন,
বিএনপি প্রধানের নির্দেশমতোই চলছে দল। সাংঘর্ষিক নয়, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেই রয়েছে তারা।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান নয়া দিগন্তকে বলেন, বিএনপি বর্তমানে সবচেয়ে ঐক্যবদ্ধ। যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণে নেতাকর্মীরা ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে প্রস্তুত আছেন। আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপিকে কোণঠাসা করতে সরকারের যে ষড়যন্ত্র, তা এবার সফল হবে না। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ বা প্রতিরোধের কাছে সরকার পরাজিত হবেই। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে।
খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর এ পর্যন্ত সারা দেশে ছয় হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নতুন করে মামলা হয়েছে দুই শতাধিক। প্রতিনিয়ত পুলিশি অভিযান, তল্লাশি চলছে। দলের বেশির ভাগ নেতাকর্মীই বাসা-বাড়ি ছাড়া। রাজধানীতে রয়েছে পুলিশের কড়া নজরদারি। মহানগরের প্রথম সারির নেতাদের ধরতে পুলিশি তৎপরতা বহাল রয়েছে। অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারাও রয়েছেন পুলিশের নজরদারিতে।
ভারত, চীন, রাশিয়া চারিদিক থেকে হুশিয়ারি দিচ্ছে হাসিনাকে, হাসিনা চিন্তিত এবার মনে হয় গদি ছাড়তে হবে হাসিনাকে
বাংলাদেশে ‘নির্বিঘ্ন’ নির্বাচন চায় চীনবাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হোক চায় চীন, জানিয়েছেন ঢাকাস্থ চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য কাউন্সিলার লি গুয়ংজুন।তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। আশা করি, এ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি নতুন সরকার মসৃণভাবে পালাবদল করবে।বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকাস্থ চীনের দূতাবাসে ‘পাবলিসিটি অব চায়না ইন্টারন্যাশনাল এমপোর্ট এক্সপো অ্যান্ড বাইল্যাটারেল ইকোনমিক কোঅপারেশন’ বিষয়ক প্রেস কনফারেন্সে এসব কথা বলেন গুয়ংজুন।
তিনি বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। ইতিমধ্যে চীন বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। তাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ থাকবে।
লি গুয়ংজুন বলেন, নভেম্বরে চীনের সাংহাই শহরে এ আন্তর্জাতিক মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ মেলা বিশ্ব জনগণের জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ভালো মানের পণ্য সরবরাহ করতে। মেলায় সব দেশ একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে। বলা যেতে পারে এটি একটি উন্মুক্ত মঞ্চ যেখানে সবাই স্বাগত। এখানে শুধু চীনের পণ্য নয় বিশ্বের যে কোনো পণ্য প্রদর্শন করা যাবে।২০১৮ সাল চীনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চীনে এ বছর নির্বিঘ্নে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে, যোগ করেন লি গুয়ংজুন। বাংলাদেশ নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণ করায় শুভেচ্ছা জানান তিনি।
চীনের সরকার বাংলাদেশে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে থাকে।২০১৬ সালে চীনের প্রসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরে বিনিয়োগের ক্ষেত্র বেশ কিছু সমঝোতা হয়েছে।
আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের বিজয়কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচন এমন একটিসময়ে হচ্ছে যখন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। এই নির্বাচন শুধু হাসান উদ্দিন সরকারের নির্বাচন নয়। এটি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির নির্বাচন। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সব ষড়যন্ত্রের
বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার নির্বাচন।’ বুধবার বিকালে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের বাসভবনে এক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির
বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপোরেশন ভাগ হওয়ার পর গাজীপুর দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন। এ কারণে এর গুরুত্বও বেশি। এই নির্বাচনেহাসান উদ্দিন সরকারকে নির্বাচিত করা মানে পুরো বাংলাদেশে বিএনপিকে নির্বাচনে জয়ী করা। এজন্য সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’ সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিএদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। ভোট দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। আবার এই সরকার আগের মতো নির্বাচন করতে চায়। প্রহসন করতে চায়।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘জনগণের অধিকার
প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই গাজীপুর থেকে ফলাফল পেতে হবে। গাজীপুর সিটি নির্বাচন শুধু নির্বাচন নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এটি হচ্ছে একটি সংগ্রাম।’ গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনেরসভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শওকত হোসেন সরকার, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের নেতা সালাহ উদ্দিন
সরকার, গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন হাওলাদার ও বিএনপি নেতা মাহবুব আলম, প্রভাষক বসির উদ্দিন, গাজী সালাউদ্দিন, জনি কিবরিয়া প্রমুখ।
আজ বাংলাদেশের করুন অবনতি করেও স্বৈরচার খুনি হাসিনা উন্নয়নের বানি শোনায়, হাসিনা বাংলাদেশের কোন উন্নয়ন করেনাই। শেখ হাসিনা কোনদিন বাংলাদেশ কে ভালবাসেনি এবং বাসবে ও না।কারন শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিব যখন বাংলাদেশে এক দলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল তখন দেশবাসী মুজিবের এই কাজের প্রতিবাত জানিয়েছিল। আর এই প্রতিবাদ হয়েছিল দেশবাসীর জন্য ভয়ানক কাল, শুরু হয়েছিল মুজিবের রক্ষী বাহিনী ক্ষ্যাত হায়েনাদের দিয়ে নিরিহ জনগনের উপর যুলুম ও অত্যাচার। করেছিলেন দ্রব্যমূল্যর আকাশচুম্বী দাম।
দুর্ভিক্ষের যন্ত্রণায় না খেয়ে মরতে হয়েছে হাজারো মানুষকে। মানুষ অত্যাচারিত হতে হতে এক সময় শুরু করে দেয় মুজিব বিরোধী আন্দোলন, যার জলজন্তু প্রমান এখনো মুজিবের বেইমান কন্যা শেখ হাসিনার সাথে বসে এক টেবিলে নাস্তা খায়।সুত্র: ট্যাংক ড্যান্সার হাসানুল হক ইনু এবং ডুগডুগি মতিয়া চৌধুরী পাকিস্থানি মিলিটারিদের সেবা দাসী। এরাই সেদিন সেই বিদ্রোহী সেনা অফিসারদের উসকে দিয়ে শেখ মুজিব কে হত্যা করেছিলো। আর আজ এরাই অতিতের বাকশাল কন্যা বর্তমান স্বৈরচার শেখ হাসিনার পরম আত্বিয়।এই বিষয়ে একদিন এক মিটিং এ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছিলেন যে, মানুষের মৃত্যুর পড়ে আল্লাহ্ যদি কারো ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ করে দিতেন তাহলে শেখ হাসিনাকে জন্ম দেবার অপরাধে বঙ্গবন্ধুকে এ জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতো। তিনি আরো বলেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আপনার পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মন্ত্রী বানিয়ে বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে জাতির সাথে বেইমানি করেছেন। আপনি আবার তাদের নিয়ে এক টেবিলে বসে নাস্তা খাচ্ছেন, জানেন আপনি কি খাচ্ছেন? আপনি বঙ্গবন্ধুর রক্তচুষে খাচ্ছেন।
এ সবের প্রতিবাদে আমি একটা কথাই বলবো শেখ হাসিনা এখনো সময় আছে সোজা পথে আসুন পঁচাত্তরের মত জনগণ কে ক্ষেপিয়ে তুলবেন না, আমরা চাইনা আবার কোন ১৫ ই আগষ্টের আবির্ভাব হোক বাংলাদেশে। বাকশাল করে আপনার বাবা টিকতে পারেনাই, রক্ষী বাহিনী করে আপনার বাবা টিকতে পারেনাই, দুর্ভিক্ষ করে আপনার বাবা টিকতে পারেনাই, আপনিও পারবেন না।আপনি আপনার বাবার মত একদলীয় শাসন কায়েম করতে চাইছেন, পুলিশ কে আজ রক্ষীবাহিনী বানিয়ে ফেলেছেন, দুর্নীতি করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছেন। আর নয় এমনটা চলতে থাকলে আপনাকেও আপনার বাবার মত পাপের ফল ভোগ করতে হবে। অন্যথায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে।
আওয়ামী লীগ চেয়েছিল খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাংচুর করুক। আর গাড়ি ভাংচুর করলেই এই সুযোগের আওয়ামী লীগ গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ মারতো আর দোষ চাপাতো বিএনপির ওপর’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এক চিকিৎসক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এসময় ড্যাবের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ড্যাবের মহাসচিব ও বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, তথ্য ও গভেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক
খালেদা জিয়া সুবিচার পাননি মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সুবিচার হবে কীভাবে? এর আগে তারেক জিয়াকে একটি মামলায় একজন বিচারপতি খালাস দেয়ায় তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল।
প্রধা
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘আমরা সহিংস আন্দোলন করছি না বলে সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন রায় ও সাজা নিয়ে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখছেন না।
আমি তাদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই ৭৫’র বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যার পর আপনাদের প্রতিক্রিয়া কোথায় ছিল। তখন সংসদে আপনাদের ৩০০ জন এমপি ছিল, আপনারা ছাড়া দেশে কোনো রাজনৈতিক দলও ছিল না, তাহলে কেন দেশের কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলেও প্রতিবাদ করতে পারেননি।’
জরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চেয়েছিল খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাংচুর করুক। আর গাড়ি ভাংচুর করলেই এই সুযোগের আওয়ামী লীগ গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ মারতো আর দোষ চাপাতো বিএনপির ওপর।
যেহেতু রায় ও সাজাকে কেন্দ্র করে বিএনপি কোনও সহিংস আন্দোলন যায়নি, তাই সরকারি দল হতাশ। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সরকার অপছন্দ করে।’
খালেদা জিয়ার নির্দেশে এবং তারেক রহমানের পরামর্শে বিএনপি কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার নির্দেশে এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পরামর্শে কাজ করে যাচ্ছি। নেতাকর্মীদের বলব আপনারা সতর্ক থাকবেন। আবেগের বশবর্তী হয়েও কোনো ষড়যন্ত্রে পা দেয়া যাবে না।’
যত আঘাত করা হচ্ছে বিএনপির তত জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যত আঘাত করা হচ্ছে তাতে তত বেশি আমাদের গ্রহণযোগ্যতা জনগণের কাছে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া খালেদা জিয়াকে জেলে দেয়ায় তার জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।’
খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের মতো রাখা হয়েছে: মওদুদ
খালেদা জিয়াকে মিথ্যা অভিযোগে কারাগারে পাঠানো বর্তমান রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। একটি পরিত্যক্ত ভবনে তাকে রাখা হয়েছে। সেখানে কোনও মানুষ নেই, অন্য আসামিও নেই।
যেভাবে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের নির্জন কারাবাসে রাখা হয়, সেভাবেই তাকে রাখা হয়েছে। আগামীতে ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ এর জবাব দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদ।
শনিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে খালেদা জিয়াকে অন্যায় ও বেআইনিভাবে সাজা প্রদান বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। সেখানে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে না।
একটি পরিত্যক্ত ভবনে তাকে রাখা হয়েছে। সেখানে কোনও মানুষ নেই, অন্য আসামিও নেই। যেভাবে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের নির্জন কারাবাসে রাখা হয়, সেভাবেই তাকে রাখা হয়েছে।
তাকে জনবিচ্ছিন্ন করার জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিন বারের একজন প্রধানমন্ত্রীকে ডিভিশন না দিয়ে এভাবে কারাগারে রাখার বিষয়টি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আইন পরিপন্থি কাজ।যত দ্রুত সম্ভব খালেদা জিয়াকে নির্জন কারাবাস থেকে স্বাভাবিক কারাগারে রাখা এবং সেখানে তাকে সব সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের আদেশ রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেবে। মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
এটাই হবে আমাদের টার্নিং পয়েন্ট। এর প্রতিক্রিয়া ব্যাপক ও গভীর হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। সরকারের সব অপরাধের জবাব আগামী নির্বাচনে জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে দেবে।
মওদুদ আহমদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার এই কারাবরণ মিথ্যা মামলার উপর ভিত্তি করে। ভুয়া ও বানোয়াট একটি অভিযোগে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এটা হবে আমাদের রাজনীতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট। সরকারের এটা একটি পলিটিক্যাল ব্লান্ডার।
এই রায় কীভাবে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হবে তার ব্যাখ্যা দিয়ে মওদুদ বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। সরকার যে অপরাধ করেছে তার উত্তর আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে দেবে।
সবাইকে জানিয়ে দিতে নিউজটি অবশ্যই শেয়ার করুন
collectednews.live