ভারত-অস্ট্রেলিয়ার পথে হাঁটতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাদের মত আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা তৈরি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণ, ক্রিকেট প্রশাসনকে আরও শক্তিশালী করা, ক্রিকেট আরও ছড়িয়ে দেওয়া ও তৃণমূল থেকে প্রতিভা তুলে আনার জন্য এই আঞ্চলিক কাঠামো তৈরি করতে চাচ্ছে বিসিবি।বিগত কয়েক বছর ধরেই এই কাঠামো নিয়ে কথা বার্তা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। তবে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হচ্ছিলো না। কিন্তু কয়েকদিন আগেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন,
তাদের এই ব্যাপারে কাজ প্রায় শেষ। সবকিছুই গুছিয়ে এনেছেন। ধারণা করা হচ্ছে আগামী এক মাসের মধ্যে শুরু হবে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার কার্যক্রম।যদি আঞ্চলিক কাঠামোর আওতায় চলে আসে সেক্ষেত্রে প্রতিটি অঞ্চলকে আলাদা ভাবে তত্ত্বাবধায়ন করবে বিসিবি। প্রত্যেক অঞ্চলের বোর্ড তাদের মত করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
থাকবে পূর্ণ স্বাধীনতা। এমনকি আন্তর্জাতিক ম্যাচ সেখানে হলে সেটাও তাদেরকেই আয়োজন করতে হবে। বিসিবি শুধু জানিয়ে দিবে তাদেরকে কি করতে হবে। এক কথায় স্বায়ত্তশাসিত ভাবে তারা তাদের কাজ করবে।
এটা করলে লাভবান হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং তারা নিজেরাও লাভের অর্থ থেকে উন্নয়ন করতে পারেব। সেই সব অঞ্চলকেই বেঁছে নেয়া হবে যেসব জায়গায় ক্রিকেট স্টেডিয়াম আছে।যতদূর জানা গিয়েছে, পুরো দেশকে চার থেকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করা হবে। তাতে করে ক্রিকেট বোর্ডের আঞ্চলিক শাখাও তৈরি হবে যাতে করে বিসিবি নিজেদের কাজ ভাগ করে দিতে পারে।
কত কোটি টাকা লাভ আলোচিত সেই ‘নাগিন ড্যান্স’ থেকে?
নিজেদের স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনজাতি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ‘নিদাহাস ট্রফি’ আয়োজন করেছিল শ্রীলংকা। বাকি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বাংলাদেশ ও ভারত। গত মার্চে ঘরের মাঠে ফাইনালি লড়াইয়ে দর্শক ছিলেন লংকানরা। তবে এ টুর্নামেন্ট থেকে যে লাভ করেছেন তারা তাতে তাদের আক্ষেপ অনেকটা লাঘব হতে পারে।
এ প্রতিযোগিতা থেকে শ্রীলংকা ক্রিকেট (এসএলসি) যে আয় করেছে তা শুনলে যে কারও ভ্রু কুচকে যাবে! কত কোটি টাকা লাভ হয়েছে আলোচিত সেই ‘নাগিন ড্যান্স’ থেকে? এ এক টুর্নামেন্ট থেকেই ৯৪০ মিলিয়ন রুপি লাভ করেছে স্বাগতিকরা। অথচ লাভের পরিমাণ ধারণা করা হয়েছিল মাত্র ১৯৫ মিলিয়ন রুপি। যা থেকে বাস্তবের লাভ ৪৮০ ভাগ বেশি। সত্যিই অবিশ্বাস্য।
সংবাদ সম্মেলনে লাভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএলসির প্রেসিডেন্ট থিলাঙ্গা সুমাথিপালা, আমরা যা আশা করিনি, বাস্তবে তাই ফলেছে। নিজ দূর্গে আয়োজিত সবচেয়ে সফলতম টুর্নামেন্ট এটি।
প্রত্যাশা ছিল, নিদাহাস ট্রফি থেকে মোট আয় হবে ৬৫০ মিলিয়ন রুপি। সেটা হয়েছে ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন রুপি। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মিডিয়া স্বত্ত্ব এবং স্পন্সর থেকে এসেছে ১.২৬ বিলিয়ন রুপি। বাকিটা এসেছে টিকিট বিক্রি থেকে।
হয়তো লাভের মুখ দেখে সান্ত্বনা খুঁজবেন লংকানরা। তবে সেই টুর্নামেন্টের কথা মনে করিয়ে দিয়ে যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটপ্রেমীদের আক্ষেপ ফের জাগিয়ে তুললেন তারা।টানটান উত্তেজনার শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে শেষ বলে নাটকীয়ভাবে ভারতের কাছে হেরে যায় টাইগাররা। নাগিন ডান্স টুর্নামেন্টকে বহুগুনে আকর্ষণ করে তুলে। বলা যেতে পারে নাগিন ডান্স দিল টাইগাররা আর দুই হাতে পকেট পরিপূর্ন করল লংকানরা।