কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন মির্জা ফখরুল

হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের এই বক্তব্য ভয়ঙ্কর অশনি সংকেত।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল একথা বলেন। কারাগার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে তার দায়-দ্বায়িত্ব পুরোটাই সরকারকে বহন করতে হবে বলেও জানান তিনি। খালেদা জিয়াকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি না করে সোজা পথে তাকে মুক্তি দিয়ে সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। এর আগে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘হায়াত-মউত আল্লাহ’র হাতে, এখানে কারও হাত নেই। ’

এদিকে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শুক্রবার কারা কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে দেয়নি বলে জানিয়েছিল বিএনপি। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য শুক্রবার বিকালে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কে কেন্দ্রীয় কারাগারে যান তার বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের ছেলে অভি, বড় ছেলে তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানু ও তার মেয়ে শাহিনা খান জামান বিন্দুসহ কয়েকজন।

কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গেলেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব । তবে আগামীকাল (রোববার) কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ হচ্ছে বিএনপি নেতাদের। কারা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কারা সূত্রে, বৃহস্পতিবার যে দেখা করার কথা ছিল সেই অনুমতিতেই রোববার দুপুর ২টার পর বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন।

bartabazar

পরিবার
পুলিশের কাছে রাজনৈতিক চাহিদা নেই : সাবের চৌধুরী

পুলিশের কাছে কোনো রাজনৈতিক চাহিদা নেই, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই একমাত্র চাহিদা বলে জানিয়েছেন ইন্টার পর্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।
আজ শনিবার (২১ এপ্রিল) সকালে সবুজবাগ থানার বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমার এলাকায় বিরোধী দলকে হয়রানি করা হোক, পুলিশকে এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। পুলিশের কাছে আমাদের কোনো রাজনৈতিক চাহিদা নেই। চাহিদা একটাই সেটা হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। পুলিশের কাজ মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মানুষকে হয়রানি করা নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সর্বস্তরে আইনের শাসন নিশ্চিতের কথা উল্লেখ করে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমাদের সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকে, অপরাধীকে প্রশ্রয় দেয় বা জানমালের নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে আগে তাকে গ্রেফতার করবেন। কারণ আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। আমরা কোনো অপরাধীকে গ্রেফতারের পর শুনতে চাই না, সে আপনাদের দলের পরিচয় দেন।
মাদক ও জুয়াকে ‘মাদার ক্রাইম’ আখ্যায়িত করে এ সংসদ সদস্য বলেন, দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে। এর ফলে পুলিশ তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সফলভাবে পালন করতে পারবে।

গত বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত আইপিইউ সম্মেলকে দেশের অন্যতম বড় আয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা অনেককিছুই বলিনি। ১৪০টি দেশের সংসদের প্রতিনিধি হিসেবে ১৪০০ জন অংশ নিয়েছিলেন। ৯০টি দেশের স্পিকার-ডেপুটি স্পিকার সম্মেলনে অংশ নেন।
ওই আয়োজনে ঝুঁকি ছিলো, এ নিয়ে অনেক চিঠিপত্র চালাচালি হয়েছিল। আমরা বিভিন্ন থ্রেট এনালাইসিস করেছি। ডিএমপি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সফলভাবে এ আয়োজন সফল করতে সহযোগিতা করেছিল, যোগ করেন সাবের হোসেন চৌধুরী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ২০১৮ সাল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর নির্বাচনকে ঘিরে কোনো অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। ১৩-১৪ সালে বোমা সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেওয়া হবে না।

পুলিশের গাড়ি স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন প্রতিটি থানায় পর্যাপ্ত গাড়ি দেওয়া হচ্ছে। আগে প্রয়োজনে অন্য জায়গা থেকে গাড়ি ভাড়া নিতো, আর সেই ভাড়ার টাকা পরিশোধ করতে চাঁদা তুলতে হতো। এখন গাড়ি আমরা দেই, তেলও আমরা দেই, সুতরাং কোনো চাঁদাবাজি হবে না।
আছাদুজ্জামান মিয়া আরো বলেন, পুলিশের তৎপরতায় বর্তমানে ছিনতাই নেই, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা নেই, চাঁদাবাজের দৌরাত্ম্য নেই। যেকোন চাঁদাবাজকে স্পষ্টভাবে দমন করা হবে।
পুলিশের মধ্যে আগে থানা পুলিশকে ভালো হতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা বা মাদক দিয়ে কাউকে অপরাধী সাজানোর প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মাদকের সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর ৮০ লাখ নাগরিকের তথ্য ইতোমধ্যে ডাটাবেজে সংরক্ষিত রয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেককে ইউনিক নম্বর দেওয়া হয়েছে। কেউ বাসা পরিবর্তন করলে তাকে সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে, অর্থাৎ অপরাধ করলে কেউ পার পাবে না।
জঙ্গি আস্তানাগুলো এখন ঢাকার বাইরে চিহ্নিত হয় কারণ ঢাকায় বাড়ির মালিকরা এখন সচেতন। যেকোন অপরাধ সংগঠিত হলে এখন ন্যূনতম সময়ের মধ্যে ডিটেক্ট করতে সক্ষম হই, বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
monitorbd