মো: ওবায়েদ উল্যাহ ভূলন: বেসরকারি গণমাধ্যমগুলো আদালতের নির্দেশনা যথারীতি পালন করে চলছিলো। কিন্তু হঠাৎ দৃশ্যপট বদল।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার না করার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনাও ভণ্ডুল করা হলো। তা-ও সরকারি প্রচারমাধ্যম বিটিভি। বিটিভি ছাড়াও কেউ কেউ ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় প্রচার শুরু করলো তার বক্তব্য। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে তা হালনাগাদেই দেখা গেল।
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে এক সন্ধ্যায় লন্ডন থেকে তারেক রহমানের ফোন। পরদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছাত্রলীগ নেতাদের সাক্ষাৎ। বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কোটা প্রথা বাতিলের ঘোষণা। আর সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের বিজয় মিছিল। সার্কাসকে হার মানিয়ে মহাসার্কাস। তারেক রহমান এবার সফলতার সাথে ছাত্রলীগকেও দখল করে নিলেন। তারেক রহমানের অডিওটিতে ছিল ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের শিক্ষক মামুন আহমেদের সাথে কথোপকথন। এটির প্রচার এক অর্থে তার প্রসারই এনে দিল। প্রচারে প্রসারের মতোই কাণ্ড। যদিও প্রচারের প্রেক্ষিতে উৎসাহের সঙ্গে বলা
হয়েছে, এ কথোপকথনের মধ্যে ব্যাপক ষড়যন্ত্রের কথা। কিন্তু মনোযোগ দিয়ে শুনে গোটা আলাপচারিতার মধ্যে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত আবিষ্কার করাটাও জটিল। বরং এর আগে তারেক রহমানের কোনো কোনো অডিও শুনে তাকে একরোখা এমন কি আনাড়িও মনে হয়েছে।
দলের সাবেক নেতা শমশের মুবিন চৌধুরীর সাথে কথোপকথনে মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে উচ্চারিত কথাগুলো একজন রাজনীতিকের জন্য চরম অসম্মানের। এছাড়া বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ধরে বলা বাক্যগুলো মোটেই শোভনীয় ছিল না।
কিন্তু অধ্যাপক মামুন আহমেদের সাথে কথোপকথনে ব্যতিক্রম। সীমিত কথা দায়িত্বশীলতার ছাপও স্পষ্ট। তাতে তারেক রহমানে ভাবমূর্তি উজ্জ্বলই করে ছাড়লো রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমসহ সরকার ও কিছু গণমাধ্যম। অনেকের মতে, কাজটি হয়েছে একেবারে মোটা মাথায়। এতে সরকারের লাভ হয়নি। বরং লোকসানের পাল্লা ভারির দিকে।
বিনা পুজিতে লাভ হয়েছে তারেক রহমানেরই। ভিন্নতর আলোচনায় আসতে পেরেছেন। যদিও অডিওটি প্রচারের আয়োজনে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনে তারেক রহমানের কারসাজি রয়েছে। এই প্রচারণায় তিনি ঘটনাচক্রে সাবজেক্ট-ম্যাটার হয়ে গেছেন। বা সরকারই সেটা করে ফেলেছে।
এক ছাত্রীকে নির্যাতন ও পায়ের রগ কাটার সংবাদে ছাত্রলীগ নেত্রী এশাকে হল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বহিষ্কারের পর জুতারমালা। পরেই ফুলের মালা। বহিষ্কার প্রত্যাহার।সার্কাস এমন উড়ন্ত মাত্রায় গিয়েই ঠেকেছে। এশা নিজেই শিকার করেছেন নির্যাতন করার কথা। এশাকে নির্দোষ প্রমাণের ত্যানা প্যাঁচাতে গিয়ে কারো কোমড়ের লুঙ্গি বা প্যান্ট খুলে মাথায় প্যাঁচানোর দশা। আদালতের নির্দেশনা নিয়ে এই তামাশা তারেক রহমানের জন্য এটা পুলকের।
cnnbd24.com