পোস্টার নিয়ে চার শিক্ষার্থীর প্রতিবাদঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে মধ্যরাতে ছাত্রীদের বের করে দেওয়ায় উপাচার্যের সামনে মৌন প্রতিবাদ জানিয়েছেন চারজন ছাত্রী। শুক্রবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বেগম রোকেয়া হলে র্যাগ ডে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সামনে তারা পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন।
এসময় উপাচার্যের সঙ্গে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা উপস্থিত ছিলেন।এ মৌন প্রতিবাদে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী তানজিনা আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার অভিযোগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে কবি সুফিয়া কামাল হলে মেয়েদের রাতের আঁধারে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
গভীর রাতে নিরাপত্তার কথা না ভেবে হল প্রশাসন এমন জঘণ্য কাজ কীভাবে করতে পারে? তাই আমরা মনে করি, আমরা কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ নই, এর প্রতিবাদে উপাচার্যের সামমে আমরা প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছি।’উইম্যান অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী জয়ন্তী বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আমরা কেউ নিরাপদ নই। এরপর যাদের কাছে আমরা নিরাপদে থাকার কথা, তারাও আমাদের মধ্যরাতে হল থেকে বের করে দিয়েছে। তাই আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে উপাচার্য স্যারের সামনে দাঁড়িয়েছি।’
টিভিবাংলা/টি আই /২০ এপ্রিল ২০১৮
কোটা সংস্কার আন্দোলনের জের: ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
ইনডিপেনডেন্ট ডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত থাকার অপরাধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক ছাত্রীকে গভীর রাতে কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে সারাদেশ ব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।
ইনডিপেনডেন্ট বাংলার ঢাবি প্রতিনিধি জানান, বিকেল ৪:০০ টা থেকে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হয়। এরপর তারা টিএসসিতে অপরাজেয় বাংলা চত্বরে জমায়েত হন।চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চুয়েটে আলাদা আলাদাভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের ষোলশহর স্টেশনে শত শত আন্দোলনকারী জমায়েত হয়েছেন।
কুমিল্লার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিক্ষোভকারীরা কান্দিরপাড় এলাকায় জড়ো হচ্ছেন বলে জানা গেছে।জানা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়েট, এনডব্লিউইউ, বিএল কলেজ প্রভৃতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একত্রে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। শহরের প্রধান সড়কগুলোর যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে বলে সরে জমিনে দেখা গেছে।
এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা, ‘আমার বোন পথে কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘ভয় দেখিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘মামলা দিয়ে আন্দোলন,
বন্ধ করা যাবে না’, ‘দিয়েছি তো রক্ত,
আরো ও দেবো রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়,
ভেসে যাবে অন্যায়’ প্রভৃতি শ্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে।
independentbangla.com