শিবির-ছাত্রদল দিয়ে শুরু, এখন ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ!

শিবিরের হাত ধরে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের রাজনীতি শুরু হয়। পরে ছাত্রদলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন কিছুদিন। চাওয়া-পাওয়ার মিল না হওয়ায় তিনি সর্বশেষ যোগ দেন ছাত্রলীগে। এরপর ২০১৫ সালে ছাত্রলীগের ২৮তম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান।

১৯৮৬ সালের ৩১ আগস্ট মাদারীপুর জেলার দক্ষিণ দুধখালি ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম এইচ এম আব্দুর রহমান ও মায়ের নাম মর্জিনা খানম। তিন ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় সোহাগ।

মাদারীপুর ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০২ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৩.৫০ পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০০৪ সালে সরকারী নাজিমুদ্দীন কলেজ থেকে মানিবক বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ২০০৪-২০০৫ শিক্ষাবর্ষে সোহাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরের বছর ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞানে ভর্তি হন। সূত্র জানায়, স্কুলে থাকা অবস্থায় সোহাগ শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে সমর্থক পরে কর্মী হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি দেড় বছর ছাত্রদলের রাজনীতি করেন। সোহাগ তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রদলের সভাপতির সঙ্গে রাজনীতি করতেন। ওই সভাপতি ছিলেন যশোর এলাকার।

সোহাগকে যিনি হলে তুলেন তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের মধ্যে মারামারি হয়। সোহাগ সেই মারামারিতে ছাত্রদলের পক্ষে ছিলেন। মারামারিতে ছাত্রলীগের এক কর্মীর রগ কেটে দেয়া হয়। সম্প্রতি সোহাগ শিবিরের বিরুদ্ধে এ্যাটাকে যেতে তার দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। আইন হাতে তুলে নিতে বলেন। সিলেটে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে পালিয়ে যায়। যার সূত্র ধরে এমন বক্তব্য দেন সোহাগ। এ যেন ভূতের মুখে রাম রাম।

banglamail71.info