ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমানের বিরুদ্ধে। তবে বিষয়টি গুজব বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
হলের ছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় হলে সংঘটিত ঘটনায় ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে তাদের মুঠোফোন জব্দ করাসহ পরিবারে ফোন করে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন প্রভোস্ট। এছাড়া পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে হল ছাড়তে বলা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।’
বৃহস্পতিবার রাতে সুফিয়া কামাল হলের ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর বড় ভাই আব্দুল আউয়াল জানান, রাত আটটার দিকে আমার বোনের ফোনে কল দিলে একজন শিক্ষিকা রিসিভ করেন। ওই শিক্ষিকা আমাকে বলেন, আপনার বোনকে হল থেকে নিয়ে যান। তার ফোন জব্দ করা হয়েছে।
আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘আমার বোনের কাছে ফোনটি দেয়ার জন্য আমি ওই শিক্ষিকাকে অনুরোধ করলে ফোনটি আমার বোনের কাছে দেয়। তখন আমার বোন কান্নাজড়িত কণ্ঠে আমাকে হল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে এবং ফোন কেটে দেয়। এরপর আমি অনেকবার কল দিলেও রিসিভ হয়নি। আমি বোনের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ শঙ্কিত।’
এদিকে অন্তি নামে হলের এক ছাত্রীকে আটকে রাখার অভিযোগ করেছে তার বন্ধুরা। অন্তির বন্ধুরা জানিয়েছে, অন্তির ব্যবহৃত টেলিটক নাম্বারে ফোন দেয়ার পরে একজন ম্যাডাম ফোন ধরে বলেন, অন্তিকে দেয়া যাবে না।
ছাত্রী হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমান বলেন, ‘যারা হলের নামে অপপ্রচার চালায়, যারা ফেসবুকে বিভিন্ন গুজব ছড়ায় তাদের ফোন চেক করা হয়েছে। কাউকে হয়রানি করা হয়নি।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ সত্য নয়, এসব গুজব। বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি দুষ্টচক্র এসব ছড়াচ্ছে। আর হল প্রশাসন তাদের প্রয়োজনে ছাত্রীদের ডেকে কথা বলতেই পারে।’
bangla.24livenewspaper.com