‘কলঙ্ক’ নিয়ে উত্তেজিত মাধুরী

এমন ঘটনা আসলে প্রতিদিন ঘটেনা। প্রতিদিন কেউ ঘোষণা দেয় না যে ‘কলঙ্ক’ নির্মাণ হতে যাচ্ছে। এটি এমন একটি ছবি, যার কাস্টিং হলো ছয় তারকা। হ্যাঁ, করণ জোহরের ‘কলঙ্ক’র কথা বলা হচ্ছে। যার কাস্ট হলেন সঞ্জয় দত্ত, মাধুরী দীক্ষিত, সোনাক্ষী সিনহা, বরুণ ধাওয়ান, আলিয়া ভাট আর আদিত্য রয় কাপুর। ১৯৪০ সালের একটি ঘটনানির্ভর ছবিটির সুপার কাস্টিংই বলে দেয় এটি একটি ম্যাগনাম ওপাস হতে যাচ্ছে। আর এ ছবিতে নিজের সম্পৃক্ততায় দারুণ উত্তেজিত মাধুরী দীক্ষিত।

নিজের এই উত্তেজনা প্রকাশ করে তিনি টুইটার লেখেন, কেবলই অনিল কাপুরের সাথে ইন্দ্রকুমারের ছবি টোটাল ধামাল এর শুটিং শেষ করলাম। আর তার পরই এসে হাজির হলাম কলঙ্কর সেটে। করণ জোহরের এই ছবিটি সত্যিই উত্তেজনাপূর্ণ। নিজেকে পরিপূর্ণরুপে উপস্থাপনের আশা রাখছি।

‘জয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বন্ধুত্ব, প্রেম বা তার চেয়েও বেশি কিছু’

সম্প্রতি নিজের নির্মাণ ব্যস্ততা, ক্যারিয়ার, প্রেম, বিয়ে নিয়ে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ওপার বাংলার গুণী নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তার কিছু অংশই এখানে তুলে ধরা হলো। প্রশ্ন ছিলো ‘উমা’ আপনার পরবর্তী ছবি। এর ট্রেলার দেখতে দেখতে বার বার মনে হচ্ছিল এখানেও এক বাচ্চা মেয়ে আছে? সৃজিত উত্তরে বলেন, ফেসবুক থেকে উমার জন্ম! আমি জানি এ ছবি মানুষের আবেগকে নাড়িয়ে দেবে। তবে এখন ফেসবুক খুলতে খুব ভয় করে। আমার মনে হয় মানুষের থেকে ইয়েতি অন্তত ভাল।

ইয়েতি কোনও মেয়েকে ধর্ষণ করা বা স্কুল থেকে বের করে কোনও শিশুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় না। নিজেকে মানুষ বলতে লজ্জা হয়! সেই লজ্জা থেকেই উমা? সৃজিত বলেন, একদমই তাই। সম্পূর্ণ অপরিচিত একটা মেয়ের জন্য, কোনও আত্মীয় নয়, কোনও মা-বাবার বন্ধু নয়, গোটা একটা শহর বসন্তকালে দুর্গাপুজোর আয়োজনে সেজে উঠল। গল্পের অনুপ্রেরণা যার কাছ থেকে আমি পেয়েছি সেই ইভানের মা এই ছবির মুক্তির দিনে কলকাতায় আসবেন। আমি কানাডা যাব। ইভানের প্রিয় পার্কে ওই শহরের মানুষকে ‘উমা’ দেখানো হবে। ‘উমা’ আসলে আবেগের ছবি। ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘চতুষ্কোণ’-এর পরিচালক হঠাৎ ‘উমা’ করার রিস্ক নিচ্ছেন!

সৃজিত বলেন, ‘উমা’আমার বারো নম্বর ছবি। তবে এরকম নয় যে আমি বারো নম্বর ছবিতে অবশেষে রিস্ক নিলাম। আমি চাইলে ‘অটোগ্রাফ’ ২ বা ৩ তৈরি করতেই পারতাম, ‘বাইশে শ্রাবণ’-এর সিক্যুয়েল করতে পারতাম, কিন্তু করিনি তো! কেন? সৃজিত উত্তরে বলেন, আমি আসলে নাবিক। নদী, সমুদ্র, অতল ঢেউয়ের কাছে আমায় নোঙর ফেলতে হবে।

দেখতে হবে ¯্রােত কোন দিকে যায়। শ্যাওলা ধরাতে চাই না। অনেক কাজের কথা হলো। একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। রাজনন্দিনী না জয়া আহসান? সৃজিত বলেন, ওরে বাবা! রাজনন্দিনী বাচ্চা মেয়ে। আমি ওর মেন্টর। ওর সব কিছু নিয়ে আমার বক্তব্য আছে। আর জয়া? সৃজিত বলেন, জয়ার মতো অভিনেত্রী…জয়ার মতো মানুষ…জয়ার মতো নারী আমি খুব খুব কম দেখেছি। এই সম্পর্ক বন্ধুত্ব, প্রেম বা তার চেয়েও বেশি কিছু। আর বিয়ে? সৃজিত বলেন, কার সঙ্গে কবে হবে জানি না।

তবে আমি বিয়ে করব ভেবেই প্রেম করতে চেয়েছি। এমনও হয়েছে, কোনও আবেগঘন মুহূর্তে কেউ বলে ফেলেছে, কাস্টিং-টা কী হল? তার ছিঁড়ে গেছে সেই দিন… প্রেম আর কাজ আমি জীবনেও গুলিয়ে ফেলিনি। মানে কাজটাই আসল? সৃজিত বলেন, বাবা চলে গেল যেদিন, শ্মশানে ওই চিতাভস্ম হাতে নিয়ে বুঝেছিলাম, সব ফুরিয়ে যাবে থেকে যাবে কাজ। আমার চলে যাওয়ার পর মনে হয় পেন ড্রাইভে আমার ওই ছবি, গান, অভিনয় থাকবে। ব্যস, এইটুকু আলো নিয়ে বাঁচি!