কারা কর্তৃপক্ষকে ৭ দাবি জানিয়েছেন খালেদা!

কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারা কর্তৃপক্ষের কাছে ৭টি দাবি জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। দাবিগুলো পূরণ না হলে বেগম জিয়া সরকারের উপর মহলে চিঠি লিখে প্রতিবাদ জানাতে পারেন বলেও একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার সকালে বেগম জিয়া কিছু কারাগারে নিজের কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করে এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চান এগুলোর সমাধান করা হবে কি না।উত্তরে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, আইজি প্রিজনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।

খালেদার দাবিগুলো:

১. বেগম জিয়া অভিযোগ করেছেন, তার হাঁটুর ব্যথা, হাতের ব্যথা বাড়ছেই। তার সুচিকিৎসা হচ্ছে না। অবিলম্বে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

২. জেলখানায় খাবারের মান ক্রমশ: খারাপ হচ্ছে। ইচ্ছে করেই তাকে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। তিনি বাড়ি থেকে রান্না করা খাবারের অনুমতি চেয়েছেন।

৩. বেগম জিয়া বলেছেন, তার থাকার ঘর স্যাঁতস্যাঁতে। সেখানে আলো বাতাস প্রবেশ করে না। অবিলম্বে তাকে আলো বাতাস যুক্ত একটি কারা কক্ষে স্থানান্তর করার দাবি করেছেন।

৪. থাকার স্থানে প্রচুর মশার উপদ্রব। মশামুক্ত একটি পরিবেশে থাকতে চেয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।

৫. বেগম জিয়া অভিযোগ করেছেন, তার টয়লেট পুরোনো এবং ব্যবহারে অনুপযুক্ত।

৬. বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছেন, কারাগারে বিদ্যুৎ থাকে না অথবা তাকে কষ্ট দেওয়ার জন্যেই বিদ্যুৎ বন্ধ করা হয়। তিনি কারা কক্ষে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চেয়েছেন।

৭. এছাড়া তার মামলার ব্যাপারে আলোচনার জন্য তার প্রয়োজন অনুযায়ী সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

ekushe24

‘আতঙ্কিত’ ছাত্রনেতাদের আল্টিমেটাম

জীবননাশের শঙ্কাসহ নানা আতঙ্কে আছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা। যার কারণে বুধবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে করা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হননি সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।

এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই আমাদের জীবননাশের শঙ্কায় আছি। আমাদের আহ্বায়ককেও ভয় দেখানো হচ্ছে যার কারণে সে আজকের সংবাদ সম্মেলনে আসেনি।’

এসময় আগামী ৭ দিনের মধ্যে সরকারী চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দেন। তা না হলে ফের ছাত্রধর্মঘটের ডাক দেয়া হবে বলেও জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে সারাদেশে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, ‘অজ্ঞাতনামা মামলায় যে কাউকে হয়রানি করা যায় তাই আমরা এটি প্রত্যাহার চাচ্ছি। একাত্তর, এটিএনসহ বিভিন্ন ফুটেজে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যমের খবর ও ভিডিও ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষ সাক্ষীর তথ্য নিয়ে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো অজ্ঞাতনামা মামলা রাখা যাবে না। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আসা দোষীদের জিজ্ঞেস করলে সহজেই অপরাধীরা ধরা পড়বে।’

তিনি বলেন, ‘অধিকতর তদন্ত ও সহায়তার স্বার্থে আমরা ঢাবি প্রশাসন ও পুলিশকে আরও ৭ দিনের সময় দিয়ে দোষীদের খুঁজে বের করে অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার চাচ্ছি। অন্যথায় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্র সমাজ বর্জন করবে।

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও নেতৃত্বদানকারীদের নানা রকম ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাই আন্দোলনে নেতৃত্বধানকারী ও সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী প্রতিটি শিক্ষার্থী নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষককে অনুরোধ করছি।’

এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অতিদ্রুত প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে তা বাস্তবায়নের দাবি জানান। এক প্রশ্নের জবাবে নুর বলেন, একটি মহলের ফেসবুক গুজবে কান দেবেন না। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা সবাই আমাদের জীবননাশের শঙ্কায় আছি। আমাদের আহ্বায়ককেও ভয় দেখানো হচ্ছে যার কারণে সে আজকের সংবাদ সম্মেলনে আসেনি।

সূত্র :বিডি২৪লাইভ