খালেদা জিয়া বন্দি অবস্থায় কেউ যদি আবার জরুরি অবস্থার সময়ের মতো ষড়যন্ত্র করতে চায়, তার পরিণদি শুভ হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছেন, “আমাদের (বিএনপি) ঐক্যের বিকল্প নাই। তবে সেই ঐক্য যেন মান্নান ভুঁইয়া (সাবেক মহাসচিব) মতো খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার জন্য না হয়।“আমি স্পষ্ট করে বলতে দিতে চাই, সেই ঐক্য যেন খালেদা জিয়ার পক্ষে হয়। সেই ঐক্যের মাঝে যদি সন্দেহ দেখা দেয় যে সেটা ষড়যন্ত্রের অংশ। তাহলে কিন্তু এই অখ্যাত-অজ্ঞাত, অপরিচিত যাদের দলে কোনো পদ-পদবী নাই, তাদের হাতে মাইর খাওয়ার জন্য প্রস্তত থাকতে হবে।”
সদ্য কারামুক্ত গয়েশ্বর মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সভায় বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন।২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর দলে সংস্কারের দাবি তুলেছিলেন বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়াসহ একদল নেতা। তাদের বিরোধিতায় ছিলেন গয়েশ্বর।
মান্নান ভূঁইয়ারা তখন খালেদা জিয়াকে দল থেকে বাদ দিতে চেয়েছিলেন বলে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা অভিযোগ তোলে।
তাদের প্রতিরোধের মুখে সংস্কারপন্থিদের পিছু হটতে হয়েছিল। তখন সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া অনেক নেতাকে পরে দলে ফিরিয়েছেন খালেদা জিয়া।
খালেদার মুক্তি ‘মিলবে না’
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে বন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি আওয়ামী লীগ সরকার আমলে হবে না বলে মনে করছেন সদ্য কারামুক্ত গয়েশ্বর রায়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা কোনো অবস্থাতে খালেদা জিয়াকে জীবিত অবস্থায় মুক্তি দেবে না। এই রূঢ় বাস্তব কথাগুলো আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি। সেইভাবে আপনারা প্রস্তুত হোন।”
আগামী নির্বাচনের বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, “আমরা নির্বাচনে যাব কি যাব না, সেটাতে অনেক শর্ত থাকতে পারে। তবে একটা শর্ত হচ্ছে নির্দলীয় সরকারের দাবি। সেটা আদায় হওয়ার পরেই আমরা বিএনপি নেতারা চিন্তা করতে পারি, আমরা নির্বাচনে যাব কি যাব না।
“খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাব, না কি খালেদা জিয়াকে ছাড়া যাব, সেটা খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তেই হবে। বেগম খালেদা জিয়া আমাদের যে নির্দেশ দেবেন, সেটাই হবে।”
বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ৬ বছরপূর্তি উপলক্ষে ‘ইলিয়াস মুক্তি যুব সংগ্রাম পরিষদের’ উদ্যোগে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন গয়েশ্বর।
সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে এই সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসেন জীবন, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, শাম্মী আখতার, আমিরুল ইসলাম আলীম, শহিদুল ইসলাম বাবুল, নাসির হোসেন বক্তব্য রাখেন।
bangla.bdnews24.com