লন্ডন শহর ঘুরছে শেখ হাসিনা বিরোধী প্রতিবাদী গাড়ি
বিশেষ প্রতিনিধি লন্ডন: ‘যেখানেই হাসিনা, সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচীতে যুক্তরাজ্য বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে একটি প্রতিবাদী গাড়ি।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সম্বলিত পোস্টার ও অন্যদিকে বাংলাদেশের অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান সম্বলিত বিশাল আকৃতির পোস্টার ভ্যানগাড়িতে লাগিয়ে সেন্ট্রাল লন্ডনের রাস্তা প্রদক্ষিণ করছে।
লন্ডনে শেখ হাসিনার অবস্থান কালীন পুরো সময় জুড়ে তার সকল কর্মসূচী স্থলে পোস্টার সম্বলিত ভ্যান গাড়িটি প্রদর্শন করা হবে বলে
শীর্ষ খবর ডটকমকে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব এম এ মালেক ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ ।
এদিকে শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য আগমনের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি সমর্থক বাংলাদেশিরা। লন্ডন শহর যেনো এখন এক প্রতিবাদী নগরী।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গুম-খুন, হামলা-মামলার প্রতিবাদ ও ভোটাধিকারের দাবিতে এ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। বিক্ষোভ সমাবেশের ব্যাপক জনসমাগম নজর কেড়েছে বৃটিশ মূলধারার গণমাধ্যমেরও। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই প্রতিবাদ ফলাও করে প্রচার হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশ নিতে লন্ডনে ছুটে এসেছেন।
উল্লেখ্য, কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে ৯ দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে অবস্থান করছেন।
শীর্ষ খবর
দেশ ও জনগনকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে : নজরুল ইসলাম খান
টিবিটি সারাদেশঃ দেশ ও দেশের জনগনকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, ফলে গণতন্ত্র গভীর সংকটে নিপতিতহচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ব্যাংকে চলছে হরিলুট। হাজার হাজার কোটি টাকা অবাধে লুট হচ্ছে। আর এই লুটপাটে সহায়তা করছে খোদ সরকার। কোটি কোটি ডলার পাচার হচ্ছে এবং বিদেশে সেকেন্ড হোম গড়ে তুলছে এই লুটপাটকারীরা। এখনই এদের থামাতে হবে। গণতন্ত্র হুমকির মুখে। মানুষকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত “চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট : কোন পথে বাংলাদেশ”-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া যে গণতন্ত্রের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন সেই গণতন্ত্র আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সেদিন যদি যাদু মিয়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পাশে এসে না দাড়াতেন তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতো কিনা সন্দেহ আছে। যাদু মিয়া শুধু শহীদ জিয়ার পাশেই দাড়াননি গণতন্ত্রের জন্য তিনি ন্যাপ’র নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ বিএনপির হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
নজরুল ইসলাম খান বেগম খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে এটর্নি জেনারেল ও দুদুকের আইনজীবীদের অবস্থান সম্পর্কে সমালোচনা করে প্রশ্ন করেন তারা কি রাষ্ট্রের আইনজীবী নাকি আ.লীগের আইনজীবী। তাদের কর্মকান্ডে সমপস্টতই প্রমানিত হয় রাষ্ট্রের প্রতি, জনগনের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। তাদের কর্মকান্ডেই প্রমানিত হয় বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তির পিছনে সরকারের মদদ রয়েছে।
তিনি ১৫ টি মামলা কাঁধে নিয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহন করেছেন বলে মন্তব্য করে বলেন, ১/১১ সরকারের আমলে করা শেখ হাসিনার মামলাগুলো প্রত্যাহার হলে বেগম জিয়ার মামলা কেন প্রত্যাহার হলো না ? আসলে আ.লীগ বেগম খালেদা জিয়া জনপ্রিয়তাকে ভয় পান। আর সেই কারণেই নিজেরদের অপকর্মকে আড়াল করতে নেত্রীকে জেলে দিয়েছেন।
শাহাদাত হোসেন সেলিম মশিউর রহমান যাদু মিয়ার অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বিএনপির অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠাতা যাদু মিয়াকে বিএনপির উচিত যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা। না হলে ইতিহাসের দায় থেকে তারা মুক্তি পাবে না।
তিনি বলেন, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিজয় অর্জন করতে হলে যাদু মিয়ার প্রদর্শিত পথেই আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মশিউর রহমান যাদু মিয়াগণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যে দলটিকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি, নিজের দলের প্রতীক তুলে দিয়েছেন তাদের হয়তো মনেই নেই মশিউর রহমান যাদু মিয়া নামে কেউ ছিলেন তাদের জন্মের বেদনার সাথে। আর এই জন্য তাদের অবশ্যই ইতহাসের দায় শোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে বাধা দেয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসী-লুটপাটকারীরা সরকারি দলের ছত্রছায়ায় থেকে সরকারকে ক্ষমতায় রাখছে আর সেই সুযোগে নিজেদের আখের গুছাচ্ছে। এই রকম গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই। কোনভাবেই এই অবস্থা মেনে নেয়া যায় না। জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার প্রদর্শিত পথে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে আগামী দিনে লড়াইয়ের সামনে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে ও মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু’র সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির সহ-গবেষনা সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, লেবার পার্টি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কল্যাণ পার্টি যুগ্ম মহাসচিব আল আমিন ভুইয়া রিপন, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, মো. মঞ্জুরুল আলম, যুবনেতা আবদুল্লহ আল কাউছারী প্রমুখ।