এক দিনে শত শত নেতাকর্মী মারা পরবে। ক্ষমতা হারালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা হয়ে যাবে। এমনকি আওয়ামী লীগের ক্ষমতার শরিক দল জাতীয় পার্টির প্রধান এরশাদ বলছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে তাদের পিঠের চামড়া থাকবে না।এতেই কারো বুঝতে বাকি নেই যে ক্ষমতা হারালে তাদের করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে তা তাদের বক্তব্যে বুঝা যাচ্ছে।
যদিও এর আগেও দুইবার আওয়ামী লীগ নির্বাচনে হেরেছে তখন তারা এমন কোন কথা বলেনে।অথচ ২০০৮ সালের বিপুল ভোটে সর্বচ্চ আসনে জয়ি হয়ে ক্ষমতা এসেছিলো আওয়ামী লীগ। তাহলে তাদের শাসন আমলে ৫ বছরে এমন কি কর্মকান্ড করছে আওয়ামী লীগ যার ভয়ে নিরেপক্ষ নির্বাচন থেকে দূরে সরে গেলো।
নাকি পর্দার আড়াল থেকে এমন কোন গোষ্টি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি আওয়ামী লীগ ঐ পথে নিয়ে গিয়েছে। যাতে ধীরে ধীরে দলটি ধ্বংস হয়ে যায়। ইতিমধ্যে অনেক রাজনীতিবিদরা বলছে আওয়ামী লীগের টিকে থাকতে হলে ক্ষমতায় থাকা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে স্বৈরাচারি কায়দা ছাড়া আর কোন পথ ও খোলা নেই আওয়ামী লীগের। কিন্তু ইতিহাস থেকে পরিষ্কার এটা বলে দেয়া যায় স্বৈরাচারিরা শেষ পর্যন্ত হারিয়ে যায়। জনগণ তাদের কখনো ক্ষমা করে না।আর স্বৈরাচারি ব্যাক্তিদের করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়।তাহলে কি ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে যারা ক্ষমতা এনেছে তারা কি তবে আওয়ামী লীগকে ফাঁদে ফেলেছে??
tazakhobor24
তারেককে ফিরিয়ে আনা হবে : যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বিকেলে লন্ডনে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে (ওডিআই) ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন গল্প : নীতি, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ভাষণ দেয়ার পর প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি এবং অবশ্যই একদিন আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে আনবো। তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
তারেক রহমানকে আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য একটি অবাধ স্বাধীনতার দেশ এবং এটি সত্যি যে, যেকোনো ব্যক্তি এখানে আশ্রয় নিতে এবং শরণার্থী হতে পারে। তবে তারেক রহমান অপরাধের কারণে আদালত কর্তৃক একজন দন্ডিত ব্যক্তি। আমি বুঝতে পারি না, একজন দন্ডিত ব্যক্তিকে কিভাবে যুক্তরাজ্য আশ্রয় দিয়েছে।’
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখিয়ে আসছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মন্ত্রীরা উভয় দেশ সফর করেছেন। সঙ্কটের সমাধান খুঁজে বের করতে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের সকল প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আগ্রহ দেখালেও বাস্তবে তারা কিছুই করেনি। তাই আমরা চাচ্ছি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করুক। বর্ষা মৌসুমের আগমনে সেখানে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।তাই সরকার সকল ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাদেরকে একটি ভালো জায়গায় স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যাতে তারা সেখানে ভালোভাবে থাকতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক শরণার্থী সীমান্তে অবস্থান করছে। সেখান থেকে মাত্র একটি পরিবারের অর্ধেক লোককে মিয়ানমার নিয়ে গেছে। এর মাধ্যমে সম্ভবত তারা বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছে যে, তারা ফেরত নিচ্ছে। এটি শুভ লক্ষণ। তবে মাত্র একটি পরিবারের অর্ধেক লোককে কেন?
বিডিটাইমস৩৬৫