রোহিতের ঝলকে অপরাজিত থেকেও হার কোহলির

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচে রান পেলেন দুই অধিনায়কই। কিন্তু কোহালিকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসলেন রোহিত শর্মা।

রোহিত শর্মাদের দেয়া ২১৪ রান তাড়া করতে নেমে ১৬৭ রানে শেষ করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর৷ ৬২ বলে ৯২ রান করে অপরাজিত থাকলেও দলকে জয় এনে দিতে ব্যার্থ থাকলেন ‘ক্যাপ্টেন হট’৷ মঙ্গলবার আইপিএল ম্যাচে টসে জিতে রোহিতদের ব্যাট করতে পাঠান আরসিবি অধিনায়ক৷ রোহিতের ৫২ বলে ৯৪ রানের ইনিংসে ভর করে বিরাটদের সামনে ২১৪ রানের লক্ষ্য রাখে মুম্বই ইন্ডিয়ানস৷ শেষ পর্যন্ত ৪৬ রানে ম্যাচ জিতল মুম্বই৷

দল জিতলেও এদিন মোস্তাফিজ ছিলেন বেশ ম্লান। ৪ ওভার বল করে ৫৫ রান দিয়েও কোনো উইকেট পাননি।

একাদশতম আইপিএলে মঙ্গলবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ৪৬ রানে হেরে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এদিন টসে জিতে মুম্বইকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান আরবিসি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মুম্বাই তোলে ২১৩ রান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৫২ বলে ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ৪২ বলে ৬৫ রান করেছেন এভিন লুইস।

ব্যাঙ্গালোরের উমেশ যাদব এবং কোরি অ্যান্ডারসন দু’টি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট নিয়েছেন ওকস। এদিকে, ২১৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে আরবিসি তোলে ১৬৭ রান। অধিনায়ক কোহলি (অপরাজিত ৯২ রান) ছাড়া ব্যাঙ্গালোরের আর কেউই এদিন ব্যাট হাতে সাফল্য পাননি।

দল হারলেও এ বারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় এক নম্বরে উঠে এলেন কোহালি। ম্যাচের শেষে কমলা টুপি নেওয়ার সময় আরসিবি অধিনায়ক বলেন, ‘‘আমি এখন এই টুপিটা পরতে চাই না। আমরা ম্যাচটা ছুড়ে দিয়ে এলাম। কয়েকটা বড় রানের জুটি গড়তে পারলে ফল অন্য রকম হতে পারত।’’ রোহিতের মন্তব্য, ‘‘প্রথম ছয় ওভারে বোলাররা কিছুটা সাহায্য পেয়েছিল। উমেশ যাদব খুব ভালো জায়গায় বলটা রাখছিল।’’

ম্যাচের শুরুতে প্রথম দুই বলে মুম্বইয়ের দুই ব্যাটসম্যানের স্টাম্প ছিটকে দেন উমেশ। তার দুই শিকার— সূর্যকুমার যাদব এবং ঈশান কিসান। রোহিত এসে হ্যাটট্রিক বাঁচান। উমেশের আগুনে স্পেল সামলে মুম্বইকে লড়াইয়ে ফেরান রোহিত এবং এভিন লুইস। শূন্য রানে দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে এভিন-রোহিত জুটি ৬৬ বলে তোলে ১০৮ রান। ৪২ বলে ৬৫ রান করেন লুইস।

লুইস শুরু করেছিলেন। শেষটা করলেন রোহিত। শেষ ওভারে রোহিত যখন আউট হলেন, মুম্বই অধিনায়কের রান ৫২ বলে ৯৪। মারেন ১০টি চার, পাঁচটি ছয়। উল্টো দিকে ওপেন করতে নেমে কোহালি করলেন ৬২ বলে ৯২। মারলেন সাতটি চার, চারটি ছয়।

এরই মধ্যে মুম্বই ইনিংসের শেষ দিকে হার্দিক পাণ্ড্যকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ক্রিস ওক্‌সের করা ১৯তম ওভারে হার্দিককে কট বিহাইন্ড দেন আম্পায়ার। কিন্তু কোনো ফিল্ডার বা বোলার আবেদন করেননি। হার্দিক অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে ডিআরএসের সাহায্য নেন। এবং, তৃতীয় আম্পায়ার নট আউট দেন। যার পরে কিছুটা উত্তেজিত কোহালিকে দেখা যায় আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলছেন। মুম্বইয়ের জয়ের মাঝে কাঁটা হয়ে থাকল ঈশান কিসানের চোট। কিপিং করার সময় হার্দিকের ছোড়া বলে চোখের উপরে চোট পান তিনি। ঈশানকে তার পরে মাঠ ছেড়ে উঠে যেতে হয়।