সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে ব্যাপক টাকা বিলানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ছাত্ররা ফিরে যাওয়ায় বিএনপির নেতৃত্ব চুপসে গেছে।ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় শপথ নেয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে ওই সরকারে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি করা হয় সৈয়দ নজরুল ইসলামকে। প্রধানমন্ত্রী হন তাজউদ্দিন আহমেদ। শপথ নেন মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানও। পরে ওই সরকারের নেতৃত্ব ও পরিচালনায় হয় মুক্তিযুদ্ধ। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের।
৪৭ বছর পর এই দিন ভোরে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় আওয়ামী লীগের কর্মসূচি। বিকালে হয় আলোচনা সভা।এই আলোচনায় বরাবর প্রধান অতিথি থাকেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তিনি এখন কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তাই এই আলোচনায় প্রধান অতিথি হন কাদের।
কাদের তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিবস ৭ মার্চ, ১৭ এপ্রিল এবং পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন না করায় বিএনপির কঠোর সমালোচনা করেন।সেই সঙ্গে সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনের বিষয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতা। গত ৯ এপ্রিল তার সঙ্গেই আন্দোলনকারী ২০ নেতার সমঝোতা বৈঠক হয়। কিন্তু সমঝোতা ভেঙে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আন্দোলনে ফেরে ছাত্ররা আর সারাদেশে কর্মসূচি ছড়িয়ে পড়ার পর ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে ‘কোনো কোটার দরকার নেই’ বলে বক্তব্য দেয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
কাদের জানান, কোটা নিয়ে এই আন্দোলন হলেও এতে সরকারবিরোধী নানা গোষ্ঠী সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করেছিল বলে তথ্য আছে সরকারের কাছে। বিশেষ করে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি টেলিফোনালাপ ফাঁস হওয়াটাকে এর প্রমাণ হিসেবে দেখাতে চাইছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নয় বছর ধরে আন্দোলনের ডাক দিয়েও নয় মিনিটের জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।’