‘জানি না আর দেখা হবে কিনা’

লন্ডনে ফিরে গেলেন কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। গতকাল রোববার রাতে তাঁর দুই কন্যাকে নিয়ে ঢাকা ছাড়েন বেগম জিয়ার পুত্রবধু।

এর আগে পয়লা বৈশাখের বিকেলে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।এসময় বেগম জিয়া বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। নাতনীদের বিদায় দিয়ে বলেন, ‘তোমরা চলে যাও। জানিনা আর দেখা হবে কিনা। বেঁচে থাকলে দেখা হবে।’

Image result for pic of khaleda and sharmila rahman together

গত ২৯ মার্চ প্রয়াত কোকোর স্ত্রী লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। সমঝোতার অংশ হিসেবে বেগম জিয়া প্যারোলে মুক্তি পেতে পারেন এমন সম্ভাবনা থেকেই শর্মিলা রহমান সিঁথি ঢাকায় এসেছিলেন।কথা ছিল সিঁথি বেগম জিয়াকে সঙ্গে করে লন্ডনে নিয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমঝোতা চুড়ান্ত হয়নি। সরকারও আর বেগম জিয়াকে বিদেশে যেতে দিতে আগ্রহী নয়।

এমন প্রেক্ষাপটে সিঁথি দেশে আর না থাকার সিদ্ধান্ত নেন। গত ১৭ দিনে শর্মিলা বেগম জিয়ার সঙ্গে তিন দফা সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও বেগম জিয়াকে পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হলে, সেখানেও যান সিঁথি।অবশ্য সিঁথির পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে আবার দেশে ফিরবেন তিনি।

“আমার নেত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন , ইনশাআল্লাহ“

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে দাবি করে ক্ষমতায় গেলে এতে জড়িতদের বিচারের হুমকি দিয়েছেন বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকা পার্থ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদার মুক্তির দাবিতে বিএনপির কর্মসূচিতে বক্তব্যে এই হুমকি দেন।

তিনি বলেন, । আমরা তাদের বিচার করব।” আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ভাগ্নে পার্থ বিয়ে করেছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার চাচাত ভাই শেখ হেলালের মেয়েকে।এরশাদের মন্ত্রী নাজিউর রহমান মঞ্জুরের মৃত্যুর পর বিজেপির হাল ধরে আছেন তার ছেলে পার্থ।


তার দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে শুরু থেকে রয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় আদালত বিএনপি চেয়ারপারসনকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়ার পর ওই রায়কে ‘ধিক্কার’ দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন পার্থ।

অনশন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “সরকারকে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের কোনো আদালতের খোঁচায় কিংবা কোনো নির্বাহী আদেশের কলমের খোঁচায় তাকে (খালেদা) বন্দি করে রাখা যাবে না, তাকে ছাড়া কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা যাবে না।”

কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ২০ দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকীব, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার।


এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির একাংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, অন্য অংশের হামদুল্লাহ আল মেহেদী, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া।