বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিন

আগামীতে বিএনপি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া এদেশে কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।রোববার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ঐতিহাসিক ভূবন মোহনপার্কে এ সমাবেশের আয়োজন করে রাজশাহী মহানগর বিএনপি। দুপুর ১২টার দিকেই সমাবেশ স্থাল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।ভূবন মোহন পার্ক ছোট হওয়ায় শুধু মহিলা দলের নেত্রীরা অবস্থান করতে পেরেছেন। দলের নেতাকর্মীরা মাঠের বাহিরে অবস্থান করে নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শোনেন।

জিরো পয়েন্ট, আলু পট্টি মোড়, রানী বাজার মোড়, যাদুঘর মোড়, সোনা দীঘি মোড় ও সাহেব বাজারসহ পুরো শহরে জনতার ঢল নামে।কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কেউ জানতাম না। হঠাৎ করে একটা আন্দোলন হলো। আগামীদিনে গণতন্ত্রের আন্দোলন, জনগণের অধিকারের আন্দোলনও সেরকম হবে। জনগণ যখন রাস্তায় নামবে তখন তারা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনী নিয়োগ করে একটা সংসদ নির্বাচন করবে। সেই আন্দোলনে রাজশাহীবাসীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

 

তিনি আরও বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে কারগারে নিয়ে দলকে ভাঙতে চেয়েছিল। সরকার তাতে সফল হয়নি। আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শ নিয়ে এ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসচি দিয়ে আসছি।

এতে যদি সরকারের বোধদয় না হয়, তাহলে কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। সেই আন্দোলন সফল করতে আপনারা প্রস্তুত আছেন কি না। তখন সবাই হাত উচিয়ে হ্যাঁ বলে সারা দেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া সেটা হতে পারে না। তাই খালেদা জিয়াকে ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।ড. মোশাররফ বলেন, বিএনপির মতো বড় একটি দলের সমাবেশ এই ছোট জায়গায় করা সম্ভব না। আপনারা ছোট জায়গা দিয়ে আমাদের সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুরো রাজশাহী আজ সমাবেশে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল। কিন্তু তার মায়ের মৃত্যুর কারণে আসতে পারেননি। আমরা তার মায়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।

বিএনপির নীতি-নির্ধারণী এই নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, ২০ দল ও বিএনপিকে বাইরে রেখে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরও একটা নির্বাচন করতে চায় সরকার। কারণ তারা জনগণকে ভয় পায়। তাই তারা ক্ষমতায় এসেই বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। শেয়ার বাজার লুট করে মানুষকে পথে বসিয়েছে। আজকে ১০ টাকার পরিবর্তে ৬০ টাকায় মোটা চাল কিনতে হচ্ছে।

ড. মোশাররফ বলেন, জনগণের ওপরে শেখ হাসিনার কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নাই। তাই হাত উচিয়ে তিনি নৌকায় ভোট চান। জনগণ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করছে। তাদেরকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ।

গণতন্ত্রের মুক্তি মানেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। আজকে যদি নিরপেক্ষ ভোট হয়, তাহলে আওয়ামী লীগকে জনগণ আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে। সেজন্য শেখ হাসিনা- বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পান, জনগণকে ভয় পান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ছাড়া এদেশে কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। তাই আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া সেটা কি হতে পারে? এ সময় জনগণ না সূচক উত্তর দেন। তখন ড. মোশাররফ বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া এদেশে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।

reportbd24