টিবিটি জীবনশৈলী: সকালে উঠে কেউ কেউ হালকা গরম পানিতে সামান্য পাতিলেবু দিয়ে পানি পান করেন। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে বা ওজন কমে বলে মনে করা হয়। তবে এখন গবেষকরা বলছেন, লেবু দিয়ে নয়, সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকাসহ অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
ওজন কমাতে একগ্লাস কুসুম গরম পানিই অনেক কাজ দেবে। এই পানির অন্যতম বড় কাজ হল এটি পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
খালি পেটে কুসুম গমর পানি পেটের বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়। শরীরও তরতাজা রাখে সারাদিন। গরম পানিতে শ্বাসনালীর ইনফেকশন কমে যায়।
ফেলে দেয়া টি-ব্যাগের কিছু ব্যতিক্রমী ব্যবহার
টিবিটি জীবনশৈলী: একবার চা বানালেই ‘টি ব্যাগ’ এর কাজ শেষ, এমনটাই ধারণা করে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। তাই চা বানানো শেষে টি ব্যাগের জায়গা হয় সোজা ডাস্টবিনে। কিন্তু এই ব্যবহৃত টি ব্যাগগুলোই দৈনন্দিন বিভিন্ন জরুরি কাজে লাগতে পারে নানা ভাবে।
ব্যবহৃত ‘টি ব্যাগ’ কী কী কাজে লাগতে পারে, দেখে নেয়া যাক তার কিছু উদাহরণ-
রোদে পোড়া দাগ দূর করতে
চা এ ট্যানিক এসিড থাকে যা সান বার্ণ বা রোদে পোড়া কঠিন দাগও দূর করে। ৪-৫টি ব্যবহৃত টি ব্যাগ বাথটাবে ২৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে দিনে দুইবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের যে কোন অংশের রোদে পোড়া অংশ ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে
গরম পানিতে টি ব্যাগ ভিজিয়ে রেখে সেখানে পা ডুবিয়ে রাখলে পায়ের যেকোন ধরণের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
হাঁড়ি-পাতিল পরিষ্কার করতে
চা এর বিভিন্ন উপাদান রান্নার হাঁড়ি-পাতিলের জমে যাওয়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিবার ব্যবহারের পর হাঁড়ি-পাতিল পুরনো টি ব্যাগ দিয়ে ঘষলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে সব দাগ।
চোখের ভাঁজ দূর করতে
২-৩টি ব্যবহৃত টি ব্যাগ এক করে চোখের পাতার ওপর বসিয়ে দিন। প্রতিদিন ব্যবহারে চোখের ভাঁজ পড়া কমে গিয়ে আপনার চোখ হয়ে উঠবে আরও সতেজ।
গাছের ছোটখাট রোগ দূর করতে
গাছকে বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে বাঁচাতে পানি দেয়ার সাথে সাথে ব্যবহৃত টি ব্যাগ থেকে শুকনো চা পাতার গুঁড়ো মাটিতে চেপে দিলে গাছ ইনফেকশন থেকে বাঁচবে। গাছের উর্বরতাও বাড়ে চায়ের মাধ্যমে।
কাঁচ পরিষ্কার করতে
ব্যবহৃত টি ব্যাগের চায়ের পাতা ফুটিয়ে স্প্রে তৈরি করে নিন। কাঁচে ছিটিয়ে কাপড় দিয়ে একটু মুছে নিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে কাঁচের যে কোন কিছু।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে
ব্যবহৃত টি ব্যাগ থেকে আর একবার চা বানিয়ে কুলি করে নিন। মুহূর্তেই মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে। ব্যাকটেরিয়াও ধীরে ধীরে বিদায় হবে এই পদ্ধতিতে।
thebangladeshtoday.com