টিবিটি জাতীয়ঃ হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগর শাখা’র সভাপতি নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, ‘আমরা দেশীয় রীতি ও সংস্কৃতির বিরোধী নই। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে ঈমান বিধ্বংসী আগ্রাসী সংস্কৃতির নিন্দা জানাই।মুসলমানদের জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রার সংস্কৃতি চর্চা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। সংস্কৃতির লেবেল সেঁটে দিয়ে মুসলমানদের ঈমান হরণ করার আয়োজনে তো আমাদের চুপ থাকার সুযোগ নেই।’ শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে দেশের সকল সরকারী স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজনকে শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক বাধ্যতামূলক নির্দেশনা জারির তীব্র নিন্দা জানাই।ঈমান বিরোধী রীতি পালনে রাষ্ট্র কখনোই বাধ্য করতে পারে না। সংবিধানে প্রতিটি নাগরিককে স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে। সুতরাং সংবিধান মতে ধর্মবিরোধী কাজে সরকার বাধ্য করতে পারে না।’
বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির বলেন, ‘বছরের প্রথম দিন বাঘ-ভাল্লুক, সাপ, বিচ্ছু, কুমির, পেঁচা, ময়ূর ও বিভিন্ন দেব-দেবীর বড় বড় মূর্তি, ছবি নিয়ে ও মুখোশ পরে মঙ্গল শোভা যাত্রার নামে র্যালি বের করা হয়। এখানে কার কাছে নতুন বছরের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে? ’‘তিনি আরও বলেন, পান্তা-ইলিশের নামে যে সংস্কৃতির চর্চা এখন চলে থাকে, তাও আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কোনও অংশ নয়। বরং এটা গ্রাম-বাংলার খেটে খাওয়া কোটি কোটি মানুষের দারিদ্রতার সাথে উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়।’
কাশ্মীরে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ
টিবিটি সারাবিশ্বঃ ভারতের কাশ্মীরে আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভের মুখে বিজিপির দুইজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।
এ ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠেছে। এদিকে, শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।জানুয়ারি মাসের ওই ঘটনায় মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগপত্র দেয়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে।
এরপরই জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যটির কাঠুয়া জেলার আসিফা বানু নামে ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণের পর ৩ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়। পরে জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার নির্দেশে ওই শিশুকে অপহরণের পর গণধর্ষণ করা হয়। এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আতঙ্কে কাশ্মির ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন আসিফার বাবা-মা।
The Bangladesh Today