মতিয়ার ওপর হটাৎ ক্ষেপে গিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের!

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত সোমবার সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকেরপর ৭ মের মধ্যে কোটা ব্যবস্থা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এসময় আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। এমন সিদ্ধান্তে আন্দোলনকারীরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন।


কিন্তু কোটা নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আবার একজোট হয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।অনেক ছাত্রলীগ নেতাও তাদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আন্দোলনে যোগ দেন।
গত সোমবার সংসদে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সুযোগ পাবে না, রাজাকারের বাচ্চারা সুযোগ পাবে? তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংকুচিত হবে?

তার এ বক্তব্যের পর কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা ব্যাপকভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা নিজেদের বিভক্তি ভুলে গিয়ে আবারও শাহবাগে অবস্থান নিয়ে মতিয়ার এ বক্তব্যের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন। তারা মতিয়ার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন এবং সংসদের কার্যবিবরণী থেকে মতিয়ার বক্তব্য বাদ দেওয়ার দাবি জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা মতিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী নিজেদের গর্বিত রাজাকার বলে দাবি করেন।

এটা যেন আন্দোলনকারীদের সেই ২০১৩ সালের গণজাগরণ আন্দোলনকেই মনে করিয়ে দেয়, সে সময় কাদের মোল্লা ‘ভি’ সাইন দেখানোয় এভাবেই শিক্ষার্থীরা গর্জে উঠে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছিলেন।

পরবর্তীতে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল মুক্তিযোদ্ধা উপকমিটির এক সভা শেষে বলেন, দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দায়িত্বশীল কথা বলা উচিত। তারা দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বললে কীভাবে হবে! সবাইকে আহ্বান জানাব দায়িত্বশীল বক্তব্য দেওয়ার জন্য। কেউ ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না, মানুষ কষ্ট পাবে।
এরপর গতকাল বিকালে সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের কথা বলার পর তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, মতিয়া চৌধুরী এবার কী বলবেন?

খোলা কাগজ