‘ধানের শীষ’ কেড়ে নেওয়া শঙ্কায় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে খালেদার নির্দেশ

বিএনপিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। শুক্রবার বিকেলে নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ
কারাগারে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাক্ষাৎ করতে গেলে তাঁকে বিএনপি চেয়ারপারসন এই নির্দেশ দিয়েছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল রাতে ২০ দলীয় জোটের সভাতেও নির্বাচনের ব্যাপারে ইঙ্গিত করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বেগম জিয়া দলের মহাসচিবকে বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচন করতে হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যেতে হবে।’যদিও বিএনপি প্রকাশ্যে বলছে অন্য কথা, শুক্রবারও দলের মহাসচিব বলেছেন, বেগম জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।

কিন্তু বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বলেছেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমেই বর্তমান সরকারের পতন ঘটানো এবং বেগম জিযার মুক্তি সম্ভব।’

বেগম জিয়াও দলের মহাসচিবকে বলেছেন, নির্বাচনে না গেলে বিএনপিকে ওরা ধ্বংস করে দেবে। দলে ভাঙ্গন ধরিয়ে নতুন বিএনপি করা হবে এবং ‘ধানের শীষ’ প্রতীক কেড়ে নেওয়া হবে। এসব ঠেকাতে ‘নির্বাচন’কেই বিএনপি আন্দোলনের কৌশল হিসেবে নির্ধারণ করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে, আসন্ন দুই সিটি নির্বাচন নিয়েও বেগম জিয়া দলের মহাসচিবকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।বৈঠকের শেষ পর্যায়ে বেগম জিয়া বলেছেন ‘আমি যেখানেই যে অবস্থায় থাকি, বিএনপিকে নির্বাচন করতে হবে, তার প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে।’বিএনপি নেতারাও মনে করছে, বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তাহলে সরকারকে জিততে হলে কারচুপি করতে হবে। আর ওই কারচুপি বড় আন্দোলনের ভিত্তি তৈরি করবে বলে বিএনপি নেতারা মনে করছেন।

সরকারি চিকিৎসায় আস্থা নেই: মওদুদ
সরকারি চিকিৎসায় অনাস্থা জানিয়ে সুচিকিৎসার জন্য দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ।শনিবার ঢাকায় বিএসএমএমইউতে বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালকালে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা পাঁচ বছরের দণ্ড নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে বন্দি আছেন গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে।দুই মাস পর তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার তাকে নেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে।

দলীয় নেত্রীর হাসপাতালে যাওয়ার খবর শুনে দুপুরে বিএসএমএমইউতে উপস্থিত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদার আইনজীবী মওদুদ।তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা জানি না, কেন উনাকে এখানে আনা হয়েছে। আমাদের কিছু জানানো হয়নি।”

মওদুদ বলেন, “আমরা এতদিন ধরে যা বলে আসছিলাম, এখন সরকারের মেডিকেল বোর্ড গঠন করার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে উনি অসুস্থ।”
তবে এই মেডিকেল বোর্ড গঠনকে ‘লোক দেখানো’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “সরকারের চিকিৎসায় আমাদের একেবারেই বিশ্বাস নেই।
“তাকে একটি নির্জন, পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। সেখানে এমনিতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। আমরা চাই, তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। তাহলে তিনি নিজের চিকিৎসা নিজের ডাক্তারদের দিয়ে করিয়ে সুস্থ হবেন বলে আমরা মনে করি।”

খালেদা জিয়ার জামিন না হওয়ার পেছনেও সরকারের ‘দুরভিসন্ধি’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ, যদিও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন।বিএনপিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। শুক্রবার বিকেলে নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ
কারাগারে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাক্ষাৎ করতে গেলে তাঁকে বিএনপি চেয়ারপারসন এই নির্দেশ দিয়েছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল রাতে ২০ দলীয় জোটের সভাতেও নির্বাচনের ব্যাপারে ইঙ্গিত করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বেগম জিয়া দলের মহাসচিবকে বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচন করতে হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যেতে হবে।’

যদিও বিএনপি প্রকাশ্যে বলছে অন্য কথা, শুক্রবারও দলের মহাসচিব বলেছেন, বেগম জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।কিন্তু বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বলেছেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমেই বর্তমান সরকারের পতন ঘটানো এবং বেগম জিযার মুক্তি সম্ভব।’

বেগম জিয়াও দলের মহাসচিবকে বলেছেন, নির্বাচনে না গেলে বিএনপিকে ওরা ধ্বংস করে দেবে। দলে ভাঙ্গন ধরিয়ে নতুন বিএনপি করা হবে এবং ‘ধানের শীষ’ প্রতীক কেড়ে নেওয়া হবে। এসব ঠেকাতে ‘নির্বাচন’কেই বিএনপি আন্দোলনের কৌশল হিসেবে নির্ধারণ করেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে, আসন্ন দুই সিটি নির্বাচন নিয়েও বেগম জিয়া দলের মহাসচিবকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।

বৈঠকের শেষ পর্যায়ে বেগম জিয়া বলেছেন ‘আমি যেখানেই যে অবস্থায় থাকি, বিএনপিকে নির্বাচন করতে হবে, তার প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে।’বিএনপি নেতারাও মনে করছে, বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তাহলে সরকারকে জিততে হলে কারচুপি করতে হবে। আর ওই কারচুপি বড় আন্দোলনের ভিত্তি তৈরি করবে বলে বিএনপি নেতারা মনে করছেন।

সরকারি চিকিৎসায় আস্থা নেই: মওদুদ
সরকারি চিকিৎসায় অনাস্থা জানিয়ে সুচিকিৎসার জন্য দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ।শনিবার ঢাকায় বিএসএমএমইউতে বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালকালে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা পাঁচ বছরের দণ্ড নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে বন্দি আছেন গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে।

দুই মাস পর তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার তাকে নেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে।

দলীয় নেত্রীর হাসপাতালে যাওয়ার খবর শুনে দুপুরে বিএসএমএমইউতে উপস্থিত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদার আইনজীবী মওদুদ।তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা জানি না, কেন উনাকে এখানে আনা হয়েছে। আমাদের কিছু জানানো হয়নি।”মওদুদ বলেন, “আমরা এতদিন ধরে যা বলে আসছিলাম, এখন সরকারের মেডিকেল বোর্ড গঠন করার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে উনি অসুস্থ।”

তবে এই মেডিকেল বোর্ড গঠনকে ‘লোক দেখানো’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “সরকারের চিকিৎসায় আমাদের একেবারেই বিশ্বাস নেই।
“তাকে একটি নির্জন, পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। সেখানে এমনিতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। আমরা চাই, তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। তাহলে তিনি নিজের চিকিৎসা নিজের ডাক্তারদের দিয়ে করিয়ে সুস্থ হবেন বলে আমরা মনে করি।”খালেদা জিয়ার জামিন না হওয়ার পেছনেও সরকারের ‘দুরভিসন্ধি’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ, যদিও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন।
shompadak .com