আগামী নির্বাচন সুষ্ঠ হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে’- তোফায়েল আহমেদবাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। আবার আপনারা ঘরছাড়া হবেন। আবার আমাদের বিতাড়িত করবে। তাই শক্তি দিয়ে, সমস্ত শক্তি সঞ্চয় করে আপনারা বিএনপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন ইনশাআল্লাহ আগামীবার।’রোববার ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নতুন সদস্য সংগ্রহ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস ছালামের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে অনেক অত্যাচার করেছে। কোনো উন্নয়ন করেনি। ভোলার যত উন্নয়ন হয়েছে, সব আমার হাতে। এখন ভোলা-বরিশাল ব্রিজের কাজ আল্লাহর রহমতে এ বছরই শুরু হবে। এই ব্রিজ হলে মাত্র পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই ভোলা থেকে গাড়ি নিয়ে ঢাকা যেতে পারবেন। ভোলায় প্রচুর গ্যাস রয়েছে। এই গ্যাস দিয়ে অনেক শিল্প-কলকারখানা গড়ে উঠবে। ভোলা হবে দেশের মধ্য অন্যতম উন্নত জেলা।’সমাবেশ আরো বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারেফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার।
মাদার অফ হিউম্যানিটি এখন পৃথিবীর নিকৃষ্ট স্বৈরশাসক!
হিটলারকে পিছনে ফেলে পৃথিবীর নিকৃষ্ট স্বৈরশাসকের তালিকায় প্রথম হলেন শেখ হাসিনা!জার্মানির টপ টেন নামক একটি ওয়েবসাইট তাদের দীর্ঘ মেয়াদী জরিপ চালায় আর তাতে শতকরা ১০০ তে ১৯শতাংশ ভোট পেয়ে হিটলারকে পেছনে ফেলে এক নম্বর স্বৈরশাসক হিসেবে ঘোষনা করে শেখ হাসিনা কে এদিকে ওবায়দুল কাদের বলেন শেখ হাসিনাকে বিশ্বের ১নম্বর স্বৈরশাসক তকমা দেওয়া সন্দেহজনক।
লাঠি-পেট্রোল বোমা দিয়ে মোড়ে মোড়ে বসিয়ে রেখেছিল: মোশাররফ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকার ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্র একটিও সফল হতে দেবো না। এরই মধ্যে প্রথম ষড়যন্ত্র আমরা ব্যর্থ করে দিতে পেরেছি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে সরকার ভেবেছিল, বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকায় নানা রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে।
এজন্য আওয়ামী লীগ তাদের নেতাকর্মীদের লাঠি ও পেট্রোল বোমা দিয়ে সেদিন মোড়ে মোড়ে বসিয়ে রেখেছিল। তাদের বলা হয়েছিল, বিএনপি একটি গাড়ি ভাঙলে তোমরা একশটি গাড়ি ভাঙবে। কিন্তু আমরা তাদের সেই ষড়যন্ত্র বুঝে ফেলেছি। আমরা তাদের ফাঁদে পা দেইনি। এরপরে আপনাদের (সরকার) গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট, আমরা ২ থেকে ৩ দিন হরতাল দেবো। আর আপনারা সেই হরতালে ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনবেন। এটাও আপনারা পারেননি।রবিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
মোশাররফ বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকার যে ধরনের পরিকল্পনা করছে, সেই ধরনের নির্বাচন এদেশে হতে দেয়া হবে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সরকারের আচরণ দেখে এটা ভবিষ্যতে কি হবে তা জনগণই ঠিক করবে।
উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সরকারের উদযাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কারাবন্দি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই সরকার এই আনন্দ করছেন। কারণ উন্নয়শীল দেশের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেতে আরও ছয় বছর লাগবে।
তিনি বলেন,বাংলাদেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন এবং সেখানে এখন গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ড পর্যন্ত মানা হচ্ছে না- জার্মানির একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই বাস্তব প্রতিবেদন দিয়েছে।আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত লজ্জাকর একটি স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য নিয়ে এসেছে। এই স্বীকৃতির ফলে আমরা লজ্জিত ও ক্ষুব্ধ। আওয়ামী লীগ সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে একটি স্বৈরাচারী দেশে পরিণত করেছে। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল না। আজকে স্বাধীনতা দিবসের আগে অবশ্যই এটা আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্রও আজকে আওয়ামী লীগের বাক্সে বন্দি।মোশাররফ বলেন,আওয়ামী লীগ বলছে, এটা ভিত্তিহীন।
ভিত্তিহীনভাবে বাংলাদেশকে স্বৈরাচারী দেশ হিসিবে চিহ্নিত করেনি। কিন্তু আমি বলতে চাই, ভিত্তি আছে বলেই করেছে। আমি এর একশটি প্রমাণের কথা বলতে পারবো। কিন্তু দেশ স্বৈরাচারী নয়, স্বৈরাচার উপাধিতে ভূষিত করার জন্য যার সবচেয়ে বড় অবদান তিনি হচ্ছেন, শেখ হাসিনা। সুতরাং এদেশে স্বৈরাচারী হচ্ছেন শেখ হাসিনা। বিশ্বের যে ৫০ জন স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রীর তালিকা দেয়া হয়েছে, সেখানে শেখ হাসিনা কিন্তু হিটলারের উপরে স্থান নিয়েছেন।
banglamail71